যে কোনো সময় বাংলাদেশে আসতে পারি

সপ্তাহের দুই দিন তিন সেশনে একটানা শুটিং। বাকি দিনগুলোতেও শুটিংয়ের জন্য কখনো সারাদিন কখনো দুই সেশনে ছোটাছুটি। ছুটির দিনে নাচ শেখানো। অভিনয় করলেও নেচেই শান্তি পান। টানা শুটিংয়ের ক্লান্তি মুছে দেয় নাচ। ফেসবুক, হোয়াটসএ্যাপসের স্ট্যাটাসেও লেখা আছে নাচই জীবন। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম— তিনি মাফিন চক্রবর্তী। যাকে সবাই চেনে পায়েল নামে।

স্টার জলসার ‘টাপুর টুপুর’ সিরিয়ালে পায়েল চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মাফিন। সম্প্রতি কলকাতা প্রতিনিধি সুমন মুসাফির জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর সঙ্গে আড্ডা দেন। সে আড্ডার নির্বাচিত কথপোকথন নিচে তুলে ধরা হল—

আপনার অভিনীত ‘টাপুর টুপুর’ বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়, জানেন কি?

(হেসে) দুই বাংলার মিলন টেলিভিশন নামক যন্ত্রের মাধ্যমে। আমি আজো দেশটাকে দেখিনি। তবুও আমাকে সবাই চেনে। শুনেছি টিভির পর্দায় আমাকে দেখলেই বলে, আরে পায়েল না! আগের থেকে রোগা হয়েছে। ডায়েট করে তো। আমি জানি ‘টাপুর টুপুর’ এখানকার মতো ওপার বাংলাতেও জনপ্রিয় ছিল।

কী করে জানলেন?

টালিগঞ্জে যেখানে আমাদের শুটিং হত তার পাশেই আছে একটি হাসপাতাল। সেখানে বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন। আমার সাথে দেখা করার জন্য স্টুডিওর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন তাদের আত্মীয়রা। গেটে দারোয়ানকে বলতেন, পায়েলকে ডেকে দিন। কিন্তু দারোয়ান তাড়িয়ে দিত। তারাও নাছোড়বান্দা— আমার সাথে দেখা করবেই। বিষয়টা আমার কানে আসতেই একদিন তাদের ডেকে নিই। তখন তারা আমাকে বলেছিল, আপু আপনার নাটক ‘টাপুর টুপুর’ আমরাও দেখি। আমাদের দেশে নাটকটা আপনার জন্য খুবই জনপ্রিয়। আমি তো বাংলাদেশে যায়নি, তাই নাটক বলায় বুঝতে পারছিলাম না। পরে শুনলাম ওপার বাংলায় টিভি সিরিয়ালকে নাটক বলে। এরপর একদিন আমরা পুরো ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে উপহার নিয়ে দেখা করি ও তাদের আরোগ্য কামনা করি।

বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছা করে?

(মনি পাকিয়ে হেসে) খুউউব। আপনাকে তাহলে বলি, এইতো কিছু দিন আগে বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে অভিনয়ের অফার পাই। কিন্তু মাসে ১৫ দিন শুটিংয়ের জন্য ঢাকায় গিয়ে থাকবে হবে। তাই অফারটি ফিরিয়ে দিই। কলকাতার শুটিংগুলো তাহলে বন্ধ হয়ে যেত। তবে আগামীতে সুযোগ পেলে বাংলাদেশে নাটক করার ইচ্ছা আছে। কলকাতায় আমার দুটি নাচের স্কুল আছে। তাদের নিয়ে ঢাকায় নাচের অনুষ্ঠান করতে চাই।

পশ্চিমবঙ্গের মতো আপনি বাংলাদেশেও পায়েল নামে পরিচিত?

ফেসবুকে বাংলাদেশের বন্ধুদের থেকে জেনেছি তারা পায়েল নামেই আমাকে চেনে। আমার মা এ সব জেনে একদিন বললেন, ‘সাধ করে তোর নাম রেখেছিলাম মাফিন। আমার দেওয়া নামে তোকে কেউ ডাকে না। তোর নাম হয়েছে পায়েল।’ বাংলাদেশের বন্ধুদের বলি আমার আসল নাম মাফিন, মাফিন চক্রবর্তী।

বাংলাদেশে যাবেন?

(চটজলদি উত্তর) নিয়ে যাবেন আপনি! আপনাদের অফিসে যাব। ঘুরব, আড্ডা দেব। আর হ্যাঁ, আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের বলি আমি যে কোনো সময় বাংলাদেশ আসতে পারি। কিছুদিন পর খুশীর ঈদ। সবাই ভাল করে পালন করুন, উপভোগ করুন, আনন্দ করুন। বাংলাদেশী বন্ধুদের জানাই আগাম ঈদ মুবারক।



মন্তব্য চালু নেই