যে খাবারগুলো ঘামের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী

শরীরে দুর্গন্ধ হওয়া খুবই অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নানারকম বডি স্প্রে, পারফিউম ব্যবহার করা হয়। কারো কারো এই সমস্যাটি এত প্রকট থাকে যে বডি স্প্রে কিংবা পারফিউম দিয়ে তা দূর করা সম্ভব হয় না। আপনি কি জানেন ঘামের এই দুর্গন্ধের জন্য আপনি নিজে অনেকখানি দায়ী? আপনার কিছু অভ্যাস এবং খাবারের কারণে ঘামের এই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খাচ্ছি এমন কিছু খাবার যা ঘামে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এমন কিছু খাবারের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।

১। কফি

সকালের ঘুম ভেঙে এক কাপ কফি পান করা অনেকের অভ্যাস। কফিতে থাকা ক্যাফিন আপনার মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে দেওয়ার সাথে সাথে ঘামের গ্রন্থি খুলে দেয়। অতিরিক্ত কফি পান মুখ শুকিয়ে দেয় এবং মুখের শুষ্কতা থেকে কিছু ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।

২। রেড মিট

রেড মিট বা গরুর মাংস অনেকের ঘামের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। ২০০৬ সালের Chemical Senses জার্নাল এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন যে, যারা নিরামিষভোজি তাদের ঘামে দুর্গন্ধ কম হয় যারা মাংসভোজি তাদের থেকে। হজমের সময় গরুর মাংসের অ্যামিনো এসিডের সামান্য অংশ পাকস্থলীতে থেকে যায়। পাকস্থলীর এনজাইমগুলো এই অবশিষ্টাংশের সাথে ব্যাকটেরিয়াযুক্ত হয়ে ঘাম হয়ে বের হয়। আবার গরুর মাংস হজম হতে সময় বেশি লাগার কারণে শরীরের উপর বেশি চাপ পড়ে এবং ঘামের গ্রন্থি গুলো থেকে প্রচুর পরিমানে ঘাম নিঃসরণ হয়।

৩। প্রক্রিয়াজাত খাবার

গবেষকদের মতে প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্যান ফুড, জাঙ্ক ফুডের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স বেশি। এই ধরণের খাবার খাওয়ার পর খাবারের চিনি ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে আসে এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে তীব্র ঘামের গন্ধ সৃষ্টি করে।

৪। অ্যালকোহল

মাঝে মাঝে বিয়ার অথবা অ্যালকোহল পান দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে না। কিন্তু যদি টানা কয়দিন অ্যালকোহল অথবা বিয়ার পান করেন তবে তা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবে। অ্যালকোহল রক্তের সাথে মিশে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়, ফলে অ্যালকোহলের গন্ধ নিঃশ্বাস এবং ঘামের মাধ্যমে বের হয়।

৫। কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার

শরীরে যখন চাহিদা অনুযায়ী কার্বহাইড্রেটের যোগান থাকে না তখন শরীরের ক্যালোরী পোড়ানো জন্য কার্বহাইড্রেটের বদলে ফ্যাট ব্যবহৃত হয়। এই জন্যই কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে ওজন কমে। কিন্তু কার্বোহাইড্রেটের বদলে ফ্যাট পোড়ানোর ফলে ঘামের মাধ্যমে তা বের হয়ে আসে এবং শরীরে একটা দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। এইধরণের গন্ধ শরীরে দুই তিন দিন থাকে।

৬। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি জাতীয় সবজি

বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি জাতীয় সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, সালফার রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। যা ঘাম, নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নির্গত হয়।



মন্তব্য চালু নেই