যে পশু দ্বারা কুরবানি করতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবী

কুরবানি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের ইবাদাতসমূহের মধ্যে একটি। আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে কুরবানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে কুরবানির আদায়ের মাধ্যমে তিনি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছিলেন। সুতরাং কুরবানি হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য; লোক দেখানো বা সুনাম কামানোর জন্য নয়।

কুরবানির জন্য পশু ক্রয় করার সময় দেখে নিতে হবে। উত্তম ও সুন্দর পশু। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুঁত বা দোষণীয় রোগাগ্রস্ত পশু কুরবানি করতে নিষেধ করেছেন। এ সম্পর্কিত বিশ্বনবীর একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-

হজরত বারা ইবনে আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, কুরবানির ব্যাপারে কোন ধরনের পশু হতে বেঁচে থাকতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে ইশারা করেছেন এবং বলেছেন, চার ধরনের পশু হতে। সেগুলো হলো-
ক. যে পশুর এক চোখের দৃষ্টিহীনতা স্পষ্ট;
খ. যে পশু অতিশয় রুগ্ন;
গ. যে পশু সম্পূর্ণ খোড়া এবং
ঘ. যে পশু এত শীর্ণ যে, তার হাড়ে মজ্জা নেই। (মুয়াত্তা মালেক, মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ ও মিশকাত)

অন্য হাদিসে হজরত আলি ইবনে আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আদেশ করেছেন, আমরা যেন (কুরবানির পশুর) চোখ ও কান ভালোভাবে দেখে নিই (যেন তাতে কোনো ত্রুটি না থাকে)। আমরা যেন জবাই না করি এমন পশু, যার কানের অগ্রভাগ কাটা, অথবা পিছনের দিক হতে কাটা এবং এমন পশুও না যার কান দৈর্ঘ্যে চিরে (ফেড়ে) গেছে অথবা গোলাকার ছিদ্র হয়ে গেছে। (তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ এবং মিশকাত)

হজরত আলি ইবনে আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে শিং ভাঙা ও কান কাটা জন্তু দ্বারা কুরবানি করতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

পরিশেষে…
কুরবানি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। তাই কুরবানি আদায়ে পশু নির্বাচনে হাদিসে উল্লেখিত বিষয়গুলো দেখে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিখুঁত ও উত্তম পশু দ্বারা কুরবানি আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই