যে রহস্যের কোনও ব্যাখ্যা নেই, এমন ১২টি জায়গার গোপন তথ্য

ভারতের যে সব জায়গার রহস্য মানুষকে আজও চমকে দেয়। এমন কিছু ঘটনা যার কোনও ব্যাখ্যা আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। চেষ্টা যে হয়নি তা নয়। কিন্তু হতাশই হতে হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এমনই ১২টি রহস্যজনক জায়গার রহস্য মাখা ঘটনার ছবি দেখে নিন এই অ্যালবামে।

চুম্বক পাহাড়: ১১ হাজার ফিট উচ্চতায় লাদাখের এই পথে রয়েছে চুম্বকের আকর্ষণ।
যেখানে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দিলে নিজে নিজেই গাড়ি উঠে যায় উপরের দিকে। এটা ‘হিল গ্র্যাভিটেশন পুল’ বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ভুতুরে আলো: রাতের অন্ধকারে এই আলো দেখা দেয় মাছ ধরতে সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়ানো মৎসজীবীদের।
কখনও পথ ভুলিয়ে দেয়, কখনও দুর্ঘটনারও শিকার হতে হয় তাঁদের। যার কোনও ব্যাখ্যা নেই।

ইউএফও-র আনাগোনা: লাদাখের কোঙ্গকা লা পাসের উচ্চতা ১৬,৯৭০ ফিট। এই এলাকার আকাশে নাকি মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ইউএফও-র।
মানুষের আনাগোনাও এখানে খুব কম। স্থানীয়দের বিশ্বাস ওই এলাকায় বাস করে এলিয়েনরা।

জনমানবহীন গ্রাম: রাজস্থানের খালি গ্রাম কুলধারা। এই গ্রামে এক সময় থাকতেন পালিওয়াল ব্রাহ্মণ।
দুশো বছর আগে ১৫০০ ব্রাহ্মণ রাতারাতি এই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। এর পর থেকে এই গ্রামে কোনও মানুষ থাকে না। কেউ যায়ও না।

কঙ্কালের লেক: উত্তরাখণ্ডের চামোলির রূপকুণ্ড লেক। বেশিরভাগ সময়ই ঢাকা থাকে বরফে। বরফ সরে গেলেই দেখা যায় লেকের ধার দিয়ে সার দিয়ে পরে রয়েছে ৩০০ থেকে ৬০০টি কঙ্কাল।
স্থানীয়দের ধারণা কানৌজের রাজা-রানি দলবল নিয়ে তীর্থ করতে যাওয়ার সময় বরফ ঝরে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল পুরো দলের।

যমজদের শহর: কেরলের কোদিনহি যমজদের গ্রাম। এই গ্রামে রয়েছে ২০০ জোড়ার উপর যমজ ছেলে, মেয়ে।
শুধু তাই নয় একসঙ্গে তিনটি সন্তানেরও জন্ম হয়েছে এই গ্রামে। গ্রামের বাইরে বিয়ে করেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি। ডাক্তারদের বিশ্বাস জলের কেমিক্যালের জন্যই এরকম হচ্ছে।

লাল বৃষ্টি: কেরলের ইদুকি গ্রামে ২০০১ সালের ২৫ জুলাই প্রথম দেখা যায় লাল রঙের বৃষ্টি। টানা দু’মাস মাঝে মাঝেই এই বৃষ্টি হতে দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা স্থানীয় ফসল আলগার লাল অংশ হাওয়ায় মিশে এই ঘটনা ঘটেছে।

যে শহরের বাড়িতে দরজা নেই: মহরাষ্ট্রের সানি সিগনাপুর গ্রামের কোনও বাড়িতে দরজা নেই।
শুধু বাড়ি নয়, স্কুল, অফিস কোনও বিল্ডিংয়েই দরজা নেই এবং দরজার ফ্রেমও নেই। আশ্চর্যের বিষয় কোনও অপরাধমূলক কাজের নজিরও নেই এখানে।

জাতিঙ্গা: এখানে পাখিরা আত্মহত্যা করে। অসমের এই ছোট্ট গ্রামে প্রতি সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দলে দলে পাখি উড়ে আসে।
এর পরই দলে দলে পাহাড়ের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে পাখির দল। এর কোনও ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি।

ঝুলন্ত পিলার: অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষি মন্দির। যেখানে ৭০টি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে মন্দিরটি।
এর মধ্যেই একটি পিলার আছে যেটা ঝুলন্ত। বহু বছর ধরে একই ভাবে ঝুলে রয়েছে এই পিলার।

যে আগুন নেভে না: হিমাচল প্রদেশের কাংড়া উপত্যকার জোয়ালা ডি মন্দিরের জ্বলন্ত শিখা যা কখনও নেভে না।
একটি পাথরের উপর এই শিখা ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে।

ভাসমান পাথর: রামায়নের কাহিনী অনুযায়ী এই পাথর দিয়েই বানরসেনা তৈরি করেছিল সেই ব্রিজ।
তবে এটা যে শুধু গল্প নয় তা রামেশ্বরমে গেলেই বোঝা যায়। সেই সব ভাসমান পাথর এখনও পাওয়া যায় এখানে।



মন্তব্য চালু নেই