যে সমস্যাগুলো কখনোই চিকিৎসকের কাছে লুকোবেন না!

কথায় বলে- চিকিত্সক আর উকিলের কাছ থেকে কোন কথা লুকোতে হয় না। কথাটা শুনতে আর বাস্তবে কাজে পরিণত করে দেখাতে মাঝে মাঝে যথেষ্ট কষ্টকর বলে মনে হলেও এটি আসলেই সত্যি। ভাবছেন, চিকিৎসকের কাছে আবার লুকোবার কী আছে? যে সমস্যা নিয়ে গিয়েছি সেটাই তো বলব তাকে। হ্যাঁ! কথাটা একদম ঠিক। তবে মাঝেমাঝে এই সমস্যাগুলো এতটাই জটিল আর বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায় যে সেটা কাউকে, এমনকি চিকিত্সককে বলতেও লজ্জায় পড়তে হয়। কিন্তু যতটাই বিব্রতকর হোক না কেন, সবসময় খেয়াল রাখবেন কিছু সমস্যা যেন চিকিৎসকের কাছ থেকে না লুকোন হয়। জানতে চান কী সেই সমস্যাগুলো? চলুন দেখে আসি।

১. শরীরের ভেতরে অবাঞ্চিত কিছুর প্রবেশ

সাধারনত ব্যাপারটি ছোটদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়। এই যেমন- কানে কটন বাড ঢুকে যাওয়া, নাকে কিছু একটা ঢুকে যাওয়া, পেরেক গিলে ফেলা- ইত্যাদি। ছোট কিংবা বড়- সবাইই এমন সমস্যায় দ্রুত চিকিত্সকের কাছে ছোটেন আর শরীরের ভেতরে চলে যাওয়া অহেতুক জিনিসটাকে বাইরে বের করে আনেন। কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি কারো যোনী বা পায়ুপথে কোনকিছু প্রবেশ করে তাহলে কি সে এত দ্রুত কোন পদক্ষেপ নিতে পারবেন? ছুটে যেতে পাবেন চিকিত্সকের কাছে? হ্যাঁ! মাঝে মাঝে এমন ঘটে থাকে আর এটাকে লুকোতে গিয়ে রক্তপাত থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যায় আক্রান্তের। তাই, এমন কোন ব্যাপার যদি আপনার সাথেও ঘটে থাকে তাহলে দেরী না করে দ্রুত চিকিত্সকের কাছে চলে যান।

২. গোপনীয় অঙ্গে প্রচন্ডরকম চুলকানি

শরীরের অন্যান্য স্থানে চুলকানির মতন আপনার গোপনীয় স্থানেও চুলকানি হতে পারে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি বেশি হয়ে থাকে। গরমকালে এমন চুলকানির ক্ষেত্রে এড়িয়ে না গিয়ে দেখুন সেখানে কোন ফুঁসকুড়ি হয়েছে কিনা। আর এমন চুলকানি যদি অনেকক্ষণ ধরে চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই দেরী না করে চিকিত্সকের কাছে যান। কারণ হতে পারে এটি ফাঙ্গাসের আক্রমণে তৈরি হওয়া জক ইচ। যেটা কিনা পুরুষ এবং নারী দুজনের ক্ষেত্রে পা থেকে শুরু করে যোনীপথ পর্যন্ত ফাঙ্গাস ছড়িয়ে দিতে থাকে।

৩. নিম্নাঙ্গে দূর্গন্ধ

আপনার শরীরের নিম্নাঙ্গে যদি দূর্গন্ধ থেকে থাকে তাহলে যতটাই লজ্জাজনক হোক না কেন চিকিত্সককে বলুন সেটা। কারণ এটি এবং এর সাথে যদি থাকে খানিকটা চুলকানি ( উপরে যেমনটা বলা হয়েছে ) তাহলে হতে পারে আপনার শরীরে কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেটি সময়মতন চিকিত্সা না করলে মারাত্মক আকার নিতে পারে। এক্ষেত্রে ছত্রাক সংক্রমণ, ইউটিআই থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে একজন মানুষের।

৪. আমি ধূমপান ও মদ্যপান করি

একবার চিন্তা করুন তো, আপনি নারী হোন কিংবা পুরুষ, পরিবারের বাকী সবার পাশে দাড়িয়ে কি আপনি বলতে পারবেন যে আপনি ধূমপান বা মদ্যপান করেন? অনেকের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এখনো ব্যাপারটা খুব অশোভন রকমের হয়ে রয়েছে বেশিরভাগ দেশে। ফলে চিকিত্সকের কাছে ঠিকঠাকভাবে নিজের এই অভ্যাসের কথা না বলতে পারায় চিকিত্সককেও অনেক বেশি ঝামেলায় ফেলে দেয় তারা। বাস্তবে, একজন ব্যাক্তি যিনি দিনে ১ থেকে ৪ টির ভেতরে সিগারেট খান তাকে অন্যদের চাইতে ২ গুণ বেশি চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে এমন আশঙ্কা করা হয়। সেক্ষেত্রে, পরেরবার চিকিত্সকের কাছে গেলে দয়া করে এই তথ্যগুলো না লুকোবার চেষ্টা করাই ভালো।



মন্তব্য চালু নেই