যে সিনেমাগুলো দেখে উত্তেজনায় প্রাণ হারিয়েছে দর্শক

সিনেমা মানে বিনোদন। অবসর সময়ে খানিকটা বিনোদনের আশায় মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যায় সিনেমা দেখতে। কিন্তু যদি সিনেমা হলে গিয়ে জীবন হারাতে হয় তখন ব্যাপার হয় অন্য রকম। বিশ্বাস হচ্ছে না তো। এমন ঘটনাও ঘটেছে সিনেমা হলে গিয়ে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে। কখনও আতঙ্কে আবার কখনও অদ্ভুত কারণে মৃত্যু হয়েছে তাদের। চলুন জেনে নেয়া সেই সব গল্প।

লোন সারভাইভার : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল দলের এক তালিবান নেতাকে ধরার বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটার বার্গ নির্মাণ করেন লোন সারভাইভার সিনেমাটি। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি দেখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছাদ ওলসান নামের এক ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক হলে ঘটেছিল ঘটনাটি। ওলসান সিনেমাটি দেখতে দেখতে মোবাইলে একজনকে মেসেজ করছিলেন। তার পেছনের সারিতেই বসে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ এক অফিসার। ৭১ বছর বয়সি সেই ব্যক্তির নাম কার্টিস রাভিস। বিষয়টি পছন্দ হয়নি তার। ওলসানকে মেসেজ পাঠাতে নিষেধ করেন তিনি। পরবর্তীতে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুজন। একসময় পকেট থেকে বন্দুক বের করে ওলসানকে গুলি করেন কাটিশ। ফলে মৃত্যু হয় ওলসানের।

দ্য ক্রিপিং আননোন : সিনেমাটির প্রকৃত নাম দ্য কোয়ার্টারমাস এক্সপেরিমেন্ট। ১৯৫৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাই-ফাই হরর ঘরানার সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন পরিচালক ভাল গেস্ট। সিনেমাটি দেখতে গিয়ে ভয়ে মারা গিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট কোহান নামের ৯ বছরের এক বালক। সিনেমাটা দেখে এতটাই ভয় পেয়েছিল যে হার্ট অ্যাটাক করে সিনেমা হলেই মারা যায় কোহান।

দ্য টোয়ালাইট সাগা-একল্পিস : ডেভিড স্লেইড পরিচালিত রোমান্টিক ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমাটি দেখে এতটাই আবেগআপ্লুত হয়েছিলেন যে সিনেমার মাঝপথেই প্রাণ হারান ড্যামিয়েন অ্যান্থনি সিমেথি নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু তার প্রাণ হারানোর রহস্যটা হলো সেদিনই প্রেমিকার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছিল তার। সিনেমাটি দেখে খুব কাঁদছিলেন তিনি। হলেই বসেই মদ্যপানও করছিলেন। এরপর সিনেমা অসমাপ্ত রেখেই পাড়ি জমান পরপারে।

গ্র্যান্ড মাস্তি : অ্যাডাল্ট কমেডি ঘরানার অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা গ্র্যান্ড মাস্তি। ইন্দ্র কুমার পারিচালিত এই সেক্স কমেডি সিনেমা দেখতে গিয়ে হাসতে হাসতে জ্ঞান হারান মঙ্গেস ভোগাল নামের এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তাররা জানান হাসপাতালে আনার আগেই স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তার।

ব্ল্যাক সোয়ান : নাটালি পোর্টম্যান অভিনীত এবং ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি পরিচালিত সিনেমাটি দেখতে গিয়ে হলে পপর্কন নিয়ে মারামারি শুরু করেন দুই মহিলা। এরপর ২৭ বছরের এক মহিলা মেরে ফেলে ৪২ বছরের এক মহিলাকে। কারণ খুব জোর শব্দ করে পপকর্ন খাচ্ছিলেন। যার জন্য নাকি সিনেমাটা দেখায় তার ব্যাঘাত ঘটছিল।

অ্যাভাটার : হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যবসা সফল সিনেমা অ্যাভাটার। জেমস ক্যামেরুন পরিচালিত এ সিনেমাটি দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ব্যতিক্রম নন ৪২ বছরের তাইওয়ানের কুয়ো নামের এক ব্যক্তি। দ্বিতীয়বার সিনেমাটা হলে দেখতে গিয়ে উত্তেজনায় উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে কোনোরকমে হল থেকে বেরিয়ে আসেন। কিছুটা ভালো লাগলে ফের সিনেমা হলে ঢোকেন তিনি। বেরিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান কুয়ো। কারণ হিসেবে জানা যায় অ্যাভাটার দেখে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই