যে ৪টি জিনিস পোড়া ত্বকে ভুলেও লাগাবেন না!

রান্না করছেন, হঠাৎ করে হাতটি পুড়ে গেল। কিংবা আগুনের আঁচ লেগে হাত অনেকখানি লাল হয়ে গেল? তখন কি করবেন? সাথে সাথে তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। ঘরোয়া প্রাথমিক চিকিৎসাই তখন একমাত্র ভরসা। কমবেশি আমরা সবাই আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জানি। কিন্তু কিছু কাজ আছে যা আমরা আগুনে পুড়ে যাওয়ার স্থানে করে থাকি। এতে পুড়ে যাওয়া স্থানে জ্বালাপোড়া আরও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। মূলত নিজেদের অজান্তে এই কাজগুলো আমরা করে থাকি।
১। বরফ

আগুনের ভাব লাগলে বা পুড়ে গেলে সবার প্রথম আমাদের বরফের কথা মনে পড়ে। আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে ভুলেও বরফ লাগাবেন না। বরফ ত্বকের রক্ত প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে থাকে এবং টিস্যু ক্ষতি করে থাকে। বরফের পরিবর্তে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে।
২। মাখন

অনেকেই ব্যথা কমানোর জন্য মাখন লাগিয়ে থাকে। আর সবচেয়ে বড় ভুল করে থাকে। মাখন পোড়া স্থানে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন তৈরি করে থাকে।
৩। হাইড্রোজেন পারক্সাইড

হাইড্রোজেন পারক্সাইড সাধারণত অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু আগুনে পুড়ে গেলে এটি ব্যবহার করবেন না। এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী উপাদান আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি সহ ব্যথা সৃষ্টি করে থাকে।
৪। লেবু

আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থান প্রশমিত করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে লেবু ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু লেবু সরাসরি ক্ষত স্থানে লাগানো শুধু ক্ষত জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে না, এর সাথে চামড়া কুঁচকিয়ে দিয়ে থাকে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে টি ব্যাগ লাগাতে পারেন, এটি জ্বালাপড়া অনেকটা কমিয়ে দিবে। এছাড়া মধু, অ্যালোভেরা জেল, কলার খোসা এবং টকদই লাগাতে পারেন আগুন পোড়া স্থানে। এগুলো আপনার জ্বালাপোড়া কমিয়ে ক্ষতস্থান সারতে সাহায্য করবে।



মন্তব্য চালু নেই