যে ৫ সময় ভুলেও অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করা উচিত নয়

রোগ প্রতিরোধ করাসহ ত্বক এবং চুলের যত্নে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার বেশ কার্যকরী। শুধুমাত্র এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দূর করে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। পেট ব্যথায় এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মেশানো পানি পান করুন কিংবা গলা ব্যথা করছে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং গরম পানি মিশিয়ে পান করুন দেখবেন নিমিষেগলা ব্যথা দূর হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে, চুলের খুশকি দূর করতেও বেশ কার্যকর। কিছু কিছু সময় আছে যখন স্বাস্থ্যকর এই অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করা উচিত নয়।

১। পরিবারে ডায়াবেটিস অথবা রক্ত জমাট বাঁধার ইতিহাস থাকলে

অনেক সময় অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে দেয় অথবা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন, তবে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার উচ্চমাত্রায় অ্যাসিড পণ্য যা অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়া, বদহজম অথবা ডায়ারিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আপনার যদি গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে থাকে, তবে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পানের আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে ৫-৭ ফোঁটা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না।

৩। পটাসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দেয়। পটাসিয়ামের অভাব শরীরে পেশীর দূর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অবসাদ, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।

৪। দাঁতের সমস্যায়

অমিশ্রিত অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একটি অ্যাসিডিক উপাদান যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে থাকে। অনেক সময় দাঁতের হলদেটে দাগ দূর করার জন্য এটি ব্যবহার করা হলেও দীর্ঘদিন ব্যবহার দাঁত এবং মাড়ির জন্য ক্ষতিকর। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পানে আপনি স্ট্র ব্যবহার করতে পারেন, এটি দাঁতের সুস্থ রাখবে।

৫। মুখের ঘা অথবা অন্যান্য সমস্যা

মুখ, গলা এবং অন্ননালীতে ঘা অথবা মুখের অন্যান্য সমস্যায় অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান থেকে বিরত থাকুন। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পানের পর প্রচুর পরিমাণ পানি করুন। পানি কম পানের কারণে মুখে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। অনেক গবেষকরা মনে করেন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার গলায় স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই