‘যে ৮ মিতব্যয়িতার অভ্যাস আমাকে ধনী হতে সাহায্য করেছে’

বিশ্বের প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ মিলিয়নেয়ার হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেন। এ সংখ্যা মোটেই কম নয়। এ ক্ষেত্রে একটা বিষয়ই বলা যায়, মিলিয়নেয়ার হওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। যথাযথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বহু মানুষই মিলিয়নেয়ার হতে পারে। এ লেখায় রয়েছে জন র‌্যাম্পটনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা। তিনি জানিয়েছেন, তার যে মিতব্যয়ী অভ্যাসগুলো তাকে মিলিয়নেয়ার হতে সাহায্য করেছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. আয়ের চেয়ে কম ব্যয় করা আপনার যত আয় হয় তার সবই যদি খরচ করে ফেলেন তাহলে কখনোই আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে না। এ অভ্যাস চলতে থাকলে আপনার আর্থিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাবে। আর তাই আপনার যে আয় আছে তার তুলনায় কম ব্যয় করতে হবে। এতে আর্থিক সঞ্চয় হবে এবং ধনী হওয়ার পথ খুলে যাবে।

২. কখনোই পুরো দাম না দেওয়া আপনি যে সম্পদই কিনুন না কেন, তা কেনার সময় কিস্তি কিংবা আর্থিক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখে নিন। একসঙ্গে পুরো অর্থ ধনীরা কখনোই ব্যয় করেন না। তার বদলে তারা বিকল্প কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কোনো একটি জিনিসের যত দাম ঠিক তা দিয়ে নয় বরং জিনিসটি ডিসকাউন্টে বা কমদামে কেনার চেষ্টা করুন।

৩. অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রতিদিনই অসংখ্য অর্থ বেরিয়ে যায় অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কারণে। এ অর্থগুলো যদি সংরক্ষণ করা যায় তাহলে আপনি বহু অর্থ জমাতে পারবেন। এ জন্য যেকোনো খরচ করার আগে জেনে নিন টাকাটি আপনার খরচ করা খুব জরুরি কি না। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করুন।

৪. সম্পদ ব্যবহার করা আপনার কী এমন কোনো সম্পদ রয়েছে যা ব্যবহার করছেন না? এমনকি আপনার ওয়াডরোবে অব্যবহৃত কোনো কাপড় থাকলে তাও ব্যবহার করুন। আপনার বাড়িতে বা অফিসে কি কোনো অব্যবহৃত স্থান রয়েছে? এ স্থানকে ভাড়া দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করুন। এভাবে প্রত্যেকটি সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে আপনার অর্থ আয়ের সুযোগ বাড়িয়ে চলুন।

৫. টাকা ও কার্ড বাড়িতেই রাখা বহু মানুষ হাতে টাকা থাকার কারণে বাড়তি কেনাকাটা করেন। বাড়তি কেনাকাটা বা আর্থিক খরচ অনেকেই পরিকল্পনা করে করেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের হাতে টাকা না থাকলেই এ অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটাগুলো বন্ধ করা যায়। এ কারণে আপনার কেনাকাটার বিষয়টি সঠিক তালিকা অনুযায়ী করুন। তালিকার বাইরের জিনিসপত্র কেনা থেকে বিরত থাকুন এবং অর্থ বাঁচান।

৬. লটারি বাদ লটারির মাধ্যমে ধনী হয়ে উঠুন- এমন প্রচারণা থেকে দূরে থাকুন। লটারি কিংবা জুয়ার মাধ্যমে অতি সামান্য মানুষই ধনী হয়। তাই এভাবে অর্থ ব্যয় না করে বরং পরিশ্রম করে ধনী হওয়ার চেষ্টা করুন। এ জন্য আপনার চেষ্টাই যথেষ্ট।

৭. পরিবেশসম্মত জীবনযাপন পরিবেশের কাছাকাছি থাকা পৃথিবীর জন্য যেমন উপকারি তেমন আপনার পকেটের জন্যও ভালো। যেমন এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা বাদ দিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা অভ্যাস করুন। এ ছাড়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাড়িতে চড়া বাদ দিয়ে সাইকেল কিংবা পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করতে পারেন।

৮. বাড়তি আয় যোগ করা আপনার আয়ের সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ করতে পারলে তা ধনী হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহান্তে বাড়তি কোনো কাজ, ওয়েব ডিজাইন, টেক সাপোর্ট ইত্যাদি হতে পারে আপনার আয়ের বড় সাপোর্ট। এ আয় বৃদ্ধির অর্থ আপনার জীবনযাপনে যেমন বাড়তি স্বস্তি দেবে তেমন তা আপনার ধনী হওয়ার পথও প্রশস্ত করবে।



মন্তব্য চালু নেই