যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা : গৃহবধুকে মামলা তুলে নিতে অপহরণ ও প্রাণ নাশের হুমকি

সাতক্ষীরায় যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলার বাদী কে অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ২য় কন্যা শামসুন্নাহার খুকু মনির সাথে কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলম (মিলন) এর সহিত ইং-২০০৭ সালের মুসলীম শরীয়ত অনুযায়ী রেজিঃ ১১৯/০৭ বিবাহ হয়। কিন্তু দিন যেতে না যেতে যৌতুকের দাবীতে শুরু হয় গৃহবধু খুকুমনির উপর নির্যাতন।
মামলার বাদী খুকুমনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, তার শ্বশুর মনিরুল ইসলাম বিয়ের পর থেকে কুপ্রস্তাব দিত। সে একজন লম্পট ও একাধিক বিয়ের হোতা। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুকের দাবীতে শারীরিক নির্যাতন করতো স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী, এমতাবস্থায় আমি সাতক্ষীরা বিজ্ঞ চীপ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করি আমার স্বামী খোরশেদ আলম মিলন, শ্বশুর মনিরুল ইসলাম, শ্বাশুরী আনোয়ারা বেগম ও সদরের বকচরা এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে ভাসুর হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিকারের আশায় আদালত আসামীগণের বিরুদ্ধে সমন জারী করলে তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে আত্মগোপনে রেখে আমার শ্বশুর, স্বামী ও ভাসুর মোবাইল-নং-০১৭২৩-০৩৬৫১৯, ০১৭৮৮-৯২৮১০৮ ফোনের মাধ্যমে আমাকে মামলা তুলে নিতে অহরণ ও হত্যা সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি যার নং-১১৭৭ তারিখ ২৩/১০/২০১১ আমার স্বামী আত্মগোপন করেছে মামলার ভয়ে। বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা করি মামলা-৬৬৭/১৫।
আর আমার শ্বশুর ও ভাসুর তারা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শন করছে। আজ মামলার ধার্য্য দিন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার দাবী নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিচার হোক ওই সব যৌতুকলোভী ব্যক্তিদের।



মন্তব্য চালু নেই