যৌননির্যতনের বর্ণনাসহ মোদীকে বাংলাদেশি নারীর টুইট

কাছের মানুষ যখন প্রতারণা করে, তখন দূরের কারো চেয়ে সেটা অনেক ভয়ঙ্কর হয়। মাত্র ৯ হাজার টাকা বেতনে স্বামী সংসার ও বাবা-মাকে নিয়ে কোন ভাবেই চলছিলো না পোশাক শ্রমিক সাহানার (ছদ্মনাম)। তাই সে কাছের এক সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো বেতনে ভারত যান। কিন্তু, সেই সহকর্মীই যে তাকে তার সঙ্গে বড় প্রতারণা করে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেবে তা কখনো ভাবেনি সাহানা।

ভারতে পাচার হওয়া ওই নারী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি হাতে লেখা একটি চিঠির ছবি দিয়েছেন।

চিঠিতে ভারতে নিজের দুর্বিষহ জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই নারী জানান, এ খানে আসার পর আমাকে যৌনকর্ম করতে বলা হয়। আমার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমি রাজি হই। এরপর আমাকে ভাসি নদী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫০ হাজার রুপির বিনিময়ে এক নেপালি নারীর কাছে আমাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। এরপর ব্যাঙ্গালুরু শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যৌনকর্মী হতে বাধ্য করা হয়।

প্রায় দেড় বছর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একটি উদ্ধারকারী সংগঠন মুক্ত করে ওই বাংলাদেশি নারীকে। কিন্তু তার সব জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা থেকে যায় ওই যৌনপল্লীতে।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন, ১০ হাজার রুপি সমপরিমাণের বাতিল নোট রয়েছে তার কাছে। ওই অর্থ তিনি যৌনকর্মের মাধ্যমে আয় করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি বাতিল নোটগুলো বদলে নতুন নোট দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। নোটগুলো যৌনপল্লীর মালিকদের কাছে ছিল বলে সেসময় পরিবর্তন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে ভারতে ১ হাজার ও ৫’শ টাকার নোট বাতিল করা হয়। সূত্র: জি-নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই