য‌‌ে কারনে ‘পাগলি’ নারীরাই ভালো স্ত্রী হন, জেনে নিন…

স্ত্রী হিসাবে আপনি কেমন নারী পছন্দ করবেন? শতকরা ৯৫ জন পুরুষই বলবেন, শান্ত স্বভাব এবং ঘরোয়া মেয়েকেই স্ত্রী হিসাবে পছন্দ তাঁদের। মনোবিদরা কিন্তু এর উল্টো কথাই বলছেন। তাঁদের মতে, যাঁদের আপাতপক্ষে দেখে খানিকটা ‘পাগলি’ বলে মনে হয় আসলে তাঁরাই স্ত্রী হিসাবে সব থেকে ভালো হন। এখানে পাগলি-র অর্থ অবশ্যই মানসিক ভারসাম্যহীন নয়। যাঁদের কাণ্ডকারখানা আর পাঁচজনের চেয়ে খানিকটা আলাদা। আসলে সমীকরণের বাইরে যাঁরাই থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এমন বিশেষণ যোগ হয়। এর পেছনে ৭টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মনোবিদরা। দেখে নিন সেগুলি কী কী।

১) নির্ভেজাল মানুষ : তাঁরা যেমন, তেমনটাই সকলের সামনে থাকেন। কোনও ভেক ধরেন না। আপনি একবার দেখেই বুঝবেন এর দোষ-গুণ কী কী রয়েছে। এঁরা নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। মানুষ হিসাবেও খুব সত্‍ হন।

২) অসাধারণ প্রেমিকা : আদর্শ প্রেমিকা বলতে যা বোঝায় এঁরা তাই। ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনও দিনের প্রয়োজন হয় না। ইনি সঙ্গে থাকলে যে কোনও দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলে মনে হতে পারে। বিয়ের পরে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রেম-জীবন পানসে মনে হয়। কিন্তু এঁদের ক্ষেত্রে কথাটি একেবারে খাটে না।

৩) সৃজনশীল : আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের জন্যই এঁরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হন। জীবনে, মননে এঁরা খুব সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আউট অফ দ্য বক্স ভাবতে এঁদের জুড়ি মেলা ভার।

৪) ন্যাকামি পছন্দ নয় : ট্রেকিংয়ে হোক বা ঘরোয়া পার্টি, এঁরা মহিলা হিসাবে কখনও আলাদা সুবিধা দাবি করেন না। যেখানে যেমন, সেখানে তেমন ভাবেই থাকতে পছন্দ করেন। তাই ঘুরতে বেরিয়ে বা ট্যুরে গিয়ে কখনও এঁদের নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।

৫) সব সময় আপনাকে আগলাবেন : এঁদের সামনে যদি স্বামী বা কোনও প্রিয়জনকে কেউ অপমান করেন, তবে আর রক্ষে নেই। যত ক্ষণ না অপমানকারীকে মাথা নত করাচ্ছেন, তত ক্ষণ খান্ত হন না। বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: যদি স্বামী হিসাবে আপনিও কখনও তাঁকে অপমান করার চেষ্টা করেন, তবে আপনারও একই অবস্থা হবে কিন্তু।

৬) এনার্জিতে ভরপুর : এঁরা যাকে বলে হাই অন অক্টেন এবং মোটিভেটেড থাকেন। শুধু নিজেরাই নন, এঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকেন, তাঁরাও সানিধ্যের গুণে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন। পাহাড় চড়া থেকে নতুন ব্যবসা শুরু করা, তসবেতেই এঁরা কখনও পাশ থেকে সরে যাবেন না।

৭) হারতে জানেন না : এঁদের মনের জোর এতটাই বেশি হয়, যে এঁরা হার মানতে জানেন না। অনেকেই যে পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠবেন বা নিয়তির ওপর নিজেকে সঁপে দেবেন, এঁরা সে পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যাবেন। যতক্ষণ না জিতে যাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ রকম জীবন সঙ্গিনী সহজে খুঁজে পাবেন না। বা পেলেও প্রথমেই যে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যাবেন তাও নয়। তবে যদি কখনও খুঁজে পান, আঁকড়ে ধরবেন। আপনার থেকে লাকি আর কেউ হবেন না।



মন্তব্য চালু নেই