রক্তনেশায় ক্ষমতাসীনরা ‘উন্মাদ’

রক্তনেশায় ক্ষমতাসীনরা ‘উন্মাদ’ হয়ে গেছে, তাদের পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত গফরগাঁও পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইবনে আজাদ কমলের পরিবারের সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘মানুষের রক্তনেশায় আওয়ামী লীগ আজ উন্মাদ হয়ে গেছে। তারা যেখানে যাকে পাচ্ছে, তাকে হত্যা করছে। কেবল তাই নয়, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সরকারের নানা বাহিনী যুক্ত হয়ে টাকার বিনিময়ে মানুষ গুম করছে, মানুষ হত্যা করছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, এর পরিণতি হবে অত্যন্ত খারাপ। তাদের এতো কঠিন পরিণতি হবে যে তাদের মৃত্যুতে কেউ ইন্নালিল্লাহ পড়বে না।’

ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে আজ সরকার বলে কিছু নেই, দেশে আইনের শাসন নেই। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের দেখেও দেখে না। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাঙ্গণগুলো এখন সন্ত্রাসের অভ্যয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি শিক্ষকরাও আজ নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে আছেন।’

সরকার গুম-খুন নীতি অনুসরণ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তিনমাসে আমাদের ৩১০জন নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ৬৫জনকে গুম করে ফেলা হয়েছে। তারা (সরকার) গুম ও খুন নীতি অনুসরণ করেছে। এভাবে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জনগণ ও বিএনপি মনে করে, আন্দোলনের মাধ্যমে নরপিশাচ আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে, দেশের আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।’

অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গফরগাঁও উপজেলা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন বক্তব্য রাখেন।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন কমলের বাবা আবুল কালাম, মা নুরুন্নাহার ও স্ত্রী খাদিজা খানমকে সাত্ত্বনা দেন এবং তাদেরকে ৮ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। উল্লেখ, গত ৮ সেপ্টেম্বর গফরাগাঁও আওয়ামী লীগের সস্ত্রাসীরা কমলকে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শামীমুর রহমান শামীম, জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব আখন্দ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই