পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতির মাত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন

রাউজানে কোমেনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

অভিরাম বৃষ্টিপাত ও ঘুর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি সাথে বাতাস ও পানির স্রোত ভেসে গেছে মাটির ঘর, সড়ক-কালভাট, মুরগি র্ফাম, মৎস্যখামারী পুুকুর।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও কোমেনের প্রভাবে রাউজানের হালদা, সর্তা ও কর্ণফুলীর পানি ৫ থেকে ৭ ফুট বেড়ে গিয়ে নদী তীবর্তি অসংখ্য বাড়ীঘর ডুবে গেছে। স্রোত ভেসে গেছে ঘরের মুল্যবান আসবাবপত্র। এছাড়াও পানির স্রোতে ভেঙ্গে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে অনেক ব্রিজ কালভার্ট ও রাস্তাঘাট। পাহাড়ী ঢল আর জোয়ারের পানিতে বিল-ঝিল, রাস্তা-ঘাট ডুবে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

কর্ণফুলী ও হালদা তীরবর্তি হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক সংযোগ। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, মিলছে না হাটবাজার, থমকে আছে ব্যবসা বাণিজ্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাবাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা ৫ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিযনের পশ্চিম নদিমপুর, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্ত্তা, সুলতানপুর, নোয়াপাড়ার মোকামী পাড়া, পশ্চিম নোয়াপাড়া, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, চৌধুরীঘাটকুল, পালোয়ান পাড়া, উভলং, সুর্যসেন পল্লি, বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুরহাট, কোয়ে পাড়া, পাচখাইন, কোয়েপাড়া, উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম, সওদাগর পাড়া, উরকিরচর, খলিফারঘোনা, লালমিয়া শাহ পাড়া, আবুরখিল, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা, আজিমেরঘাট, পাহাড়তলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ শত শত গ্রামের হাজার হাজার বাড়ী ঘরে পানি ডুকে পড়ে।

এসময় ঘরের লোকজন দ্রুত তাদের আসবাবপত্রসহ মুল্যবান সামগ্রি সরিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও জোয়ারের তীব্রতায় অনেক কিছু ভেসে গেছে। উরকিরচর ইউনিয়নের বিদ্যুত নেই গত ২দিন থেকে। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। ফ্রীজে রাখা সামগ্রি নষ্ঠ হচ্ছে। এছাড়াও হালদার পানির তীব্র স্রোতে পশ্চিম নদিমপুর, মোকামী পাড়া সড়কটি ভেঙ্গে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এলাকার নদী ভাঙ্গণও তীব্র আকার ধারন করেছে। তীরবর্তি অসহায় মানুষগুলো চরম শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।

অপরদিকে উপজেলার গণিমিয়ার হাটের মুসার মুরগি ফার্ম থেকে ১ হাজার মুরগি, পুর্ব কচুখাইনে খোকনের মুরাগি খামারের দুই হাজার মুরগি, শফি সওদাগরের মুরগি খামের ৫ শতাধিক মুরগি পানিতে ভেসে যায়। এতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে তারা। নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দিদারুল আলম বলেন, বন্যায় নোয়াপাড়ার বিভিন্ন গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী, বিভিন্ন খামার ক্ষতি হওয়ার খবর পেয়েছি। পরির্দশনে গিয়ে সহযোগী দেয়া হবে ইউপি পরিষদ থেকে।



মন্তব্য চালু নেই