রাখাইনের আকাশে দিনে হেলিকপ্টার আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী

টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী। তার পাড়েই উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ শিকদার। তার বাড়ি থেকে সীমান্তের ওপারে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়।

হারুনুর রশিদ জানান, বাংলাদেশের সীমান্তে থেকে তারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলা ধোঁয়া উঠছে, তাদের ধারণা সেখানে বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া হচ্ছে। আর মাঝে মাঝে হেলিকপ্টার দেখা যাচ্ছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর বিবিসি বাংলা।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে পালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীদের টহল ও কড়া প্রহরা সত্ত্বেও গোপনে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা।

তবে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ‘পুশব্যাক’ও অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ শুক্রবার ১২৫ জনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

নাফ নদীর পাড়ের বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ শিকদার বলেন, কিছু লোক বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। বিজিবি রয়েছে কঠোর প্রহরায়। তারপরেও রাতের অন্ধকারে ফাঁক ফোকর দিয়ে কিছু লোক কিন্তু ঢুকে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ের কারণে যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের কাছে থেকে জানতে পারছেন কিছু বাড়ি ঘর জালিয়ে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারে, কিছু লোককে টার্গেট করে গুলি করে মারা হয়েছে। মেয়েদের ধর্ষণের খবর তারা পেয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের অবস্থাকে নরকের সঙ্গে তুলনা করে বলছেন, সেখানে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ’ জন নিহত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই