রাজধানীতে জেএমবি’র ৫ সদস্য আটক, বিস্ফোরক উদ্ধার

রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। রবিবার দিবাগত রাতে মাতুয়াইল এলাকায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হচ্ছে জেএমবির ময়মনসিংহ জেলা আমির হুযাইফা আকন্দ ওরফে শাহিন ওরফে সিয়াম (২৫), জেএমবি সদস্য মো. ইয়াছিন আলী ওরফে শফিক, মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন, আবুল হাশেম ওরফে হাশেম সওদাগর ওরফে তোফাজ্জল হোসেন ও মো. সফিউল ইসলাম খালিদ। আটককরা ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে র‌্যাব দাবি করছে।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি টিম রবিবার রাতে মাতুয়াইলের কাঠেরপুল এলাকার বাঘবাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় ময়মনসিংহ জেলার জেএমবি আমির আকন্দসহ পাঁচ জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আইইডি, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

র্যাব থেকে পাঠানো প্রেসরিলিজে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা জেএমবি সংগঠনকে পুনরায় সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য নতুন সদস্যদের কাছ থেকে ইয়ানত সংগ্রহ এবং জেএমবি সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল। একই সাথে তারা রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ লোপাট, জিএসপি সুবিধা বাতিল, যুক্তরাজ্যে কার্গো বিমান নিষিদ্ধ, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগসহ সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এক সূত্রে গাঁথা। এসব কর্মকান্ড বাংলাদেশের অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিতে দেশী-বিদেশী চক্রের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রে অংশ কিনা ত নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ জাতীয় কর্মকাণ্ড সরকারকে সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলায় পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।



মন্তব্য চালু নেই