রাজধানীতে মৃত শিশুকে ‘জীবিত’ বলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে অর্থ আদায়

মৃত শিশুকে জীবিত বলে ভর্তি রেখে পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বুধবার ৬ জনকে আটক এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম (৩৯), ডা. শরিফুজ্জামান (২৯), মো. কাওসার (৫২), মোছা. লিজা (২৫), মনতেশ মন্ডল (৩৮), সমুন মন্ডল (২৮)। এ অভিযোগে বুধবারে র‌্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

র‌্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. মো. দিদারুল আলম এবং উপ-পরচিালক মেজর মো. আতাউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মো. শাহজাহান এবং ড্রাগ অধিদপ্তরের ড্রাগ সুপার অজিউল্লাহ।

মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, গত মঙ্গলবার ১ বছর ৪ মাসের একটি শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যায়। কিন্তু শিশুটিকে জীবিত দেখিয়ে ভর্তি রেখে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযান চালানোর সময় দেখি বাচ্চাটি গত মঙ্গলবার থেকেই ক্লিনিক্যালি ডেড। তাদের ফাইল পত্রেও বাচ্চাটি মৃত উল্লেখ থাকলেও পরিবারকে বাচ্চাটি জীবিত বলে জানানো হয়। তিনি বলেন, অভিযান চালানো সময় অনভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে শিশু রোগের চিকিৎসা করা, মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো ব্যবস্থা না থাকা, বায়োকেমিস্ট না থাকা, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের কোনো সার্টিফিকেট না থাকা, পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখা যায়। হাসপাতালটির সেবা মূল্য তালিকা প্রদর্শিত না থাকা, রোগ পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করা, ১২ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য অনুমোদিত ওষুধ বিক্রয় করছিল হাসপাতালটি বলে জানান তিনি।

এ সকল অভিযোগে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেসের ৬ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোট ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান মেজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন।



মন্তব্য চালু নেই