রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের ঝোপে ঝাড়ে লুকিয়ে অপকর্ম করা ‘নিশি’ কন্যার গল্প!

ইট পাথরে ঘেরা রাজধানী ঢাকার মানুষ একটু সুযোগ পেলেই বেড়াতে বের হন। আর বেড়ানোর জন্য তারা বেছে নেন রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র, উদ্যান ও পরিবেশ বান্ধব একটা সুন্দর স্থান। রাজধানীর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং পরিবেশ বান্ধব উদ্যান হলো জিয়া বা চন্দ্রিমা উদ্যান।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন দেশের ভিবিন্ন স্থান থেকে। কারণ চন্দ্রিমা উদ্যানে রয়েছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর। এই উদ্যানের পাশেই রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন। রয়েছে লেক। সব মিলিয়ে রাজধানীর অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র এটি। বিকেলে বাবা মায়ের সাথে এসে এখানে খেলাধূলাও করেন ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা।

তবে সন্ধ্যে নামার সঙ্গে সঙ্গেই এই উদ্যানের চেহার পাল্টে যায়। এখানে বেড়ে যায় নিশি কন্যাদের আনগোনা। একটু আগে যেখানে অন্যরকম একটি পরিবেশ ছিল সেটা হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে এখানে চলে নারীদের দেহভোগের রমরমা বাণিজ্য।

মাত্র ১০০-২০০ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বয়সের পুরুষের সঙ্গে বসে যায় নানা বয়সী নারী। লেকের পাশে ও উদ্যানের বেঞ্চে বসে চলে টাকার বিনিময়ে গল্প ও…। আর এসব দেখেও অনেক সময় না দেখার ভান করেন সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। টাকা পেলেই চুপ। আর কিছুই চাই না তাদের। যা খুশি করো, বিনিময়ে টাকা দাও। এটাই সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের কর্মকান্ড। এ অভিযোগ উদ্যানে ঘুরতে আসা অনেকেরই এই অভিযোগ।

ঢাকা, সাভার ও গাজীপুরসহ ঢাকার আশপাশের অনেক দেহব্যবসায়ীরাই এখানে আসেন। বিকেল থেকেই এরা উদ্যানের মধ্যে অবস্থান নেয়। আর অন্ধকার নেমে আসলেই উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে তারা। এই উদ্যানে মাঝ বয়সী নারীদের দেখাই বেশি মেলে।

সন্ধ্যা ৭টার পর উদ্যানের ভিতরে হাটলেই হঠাৎ করে দেখা যায়, সামান্য একটু অন্ধকারের মধ্যে গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে কোন এক নারী বলে উঠবে ‘এই বসবা’। অনেক ভদ্রলোক অনেক সময় ঘাবড়ে যান। আবার অনেকের কাছে এটা নিত্যদিনের ঘটনা। অনেকে আবার এদেরকেই খুঁজতে আসনে। যারা খুঁজতে আসেন তারা ওদের নিয়ে বসে যান।

এদের এই অনৈতিক কাজের কারণে নষ্ট হচ্ছে পুরো উদ্যানের পরিবেশ। সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও প্রসাশনদের এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এই উদ্যানের পরিবেশকে সাভাবিক করা উচিত বলে মনে করেন উদ্যানে আগত দর্শনার্থীরা।



মন্তব্য চালু নেই