রাজধানীর জলাবদ্ধতার জন্য হাউজিং কোম্পানিগুলো দায়ী

সামান্য বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য হাউজিং কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার দশম জাতীয় সংসদে সপ্তম অধিবেশন চলাকালে নজরুল ইসলাম বাবুর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ‘হাউজিং কোম্পানিগুলো বৈধ ও অবৈধ উপায়ে খাল, বিল ও নিচু জমি ভরাট করে ঢাকা শহরের পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

গৃহায়ণমন্ত্রী আরো জানান, হাউজিং কোম্পানিকে এ ধরনের আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে সরকার সর্বাত্মকভাবে সচেষ্ট আছে। ড্যাপের চিহ্নিত জলাশয় ও জলাধার এবং ভূমি রেকর্ড অনুযায়ী সিএস ও আরএস নকশায় চিহ্নিত খালগুলো অবৈধভাবে যেসব হাউজিং কোম্পানি ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বেসরকারি আবাসন কোম্পানিগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এবং সেই লক্ষ্যে প্রণীত রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১১ জাতীয় সংসদে পাস হয়ে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, রাজধানীর চারপাশের নিচু জমি খাল বিল ভরাট করে কোনো আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়নি।

ঢাকায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ বাড়ি: মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে রাজউকের অনুমোদনবিহীন ও অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মিত প্রায় ৪ হাজার ৫০০ বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৭০টি ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। অননুমোদিত ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আদালতে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই