রাজাকারদের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস পালনকারীরা নব্য রাজাকার

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যারা রাজাকারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করেন তারা নব্য রাজাকার। আর যারা তাদের সঙ্গে নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করে তারা পাকিস্তানি ভুত।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়গঞ্জ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, রাজাকাররা বুড়ো হলেও বদলায় না। রাজাকাররা হলো শয়তানের মত। আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নাই। যতদিন পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন না হবে ততদিন আমাদের যুদ্ধ চলবে। তাই যতদিন বাঁচবো রাজাকারদের রাজাকার বলবোই।

নারায়গঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা চেক প্রদানের জন্য ওই অনুষ্ঠানেরর আয়োজন করা হয়। এর আগে তিনি জেলা পরিষদের ‘৫২ থেকে বাংলাদেশ’ টেরাকোটার ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যারা গিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই সাহসী। তারা প্রত্যেকেই ‘বীর’। তাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ ব্যবহার করার জন্য সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার জন্য শেষ তদবির করবো। যাতে মৃত্যুর পরও শুধু মাত্র নাম দেখে সবাই জানতে পারে যে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এজন্য তিনি সকল জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের এই স্লোগান দেয়ার আহ্বান জানান যে, ‘নামের আগে বীর ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই’।

নারায়গঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গাউছুল আজম, নারায়গঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডারের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, নারায়গঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক জেলা কমান্ডার সামিউল্লা মিলন, নারায়গঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরীসহ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই