রাজারহাটে খুনের শিকার অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় দু’দিনেও পায়নি পুলিশ : গ্রেপ্তার ১

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র গতিয়াসাম গ্রামের আব্দুল মালেকের বাড়িতে খুনের শিকার অজ্ঞাত যুবক (৩০) এর পরিচয় গত দু’দিনেও পুলিশ উদঘাটন করতে পারেনি। শুক্রবার ভোর রাতে কুড়িগ্রাম ডিবি পুলিশ বুড়িরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতিয়াসাম এলাকার আব্দুর রাজ্জাক বাদশার পুত্র রুহুল আমিন বিপ্লব (৩২) গ্রেপ্তার করেছে এ খুনের ঘটনার জড়িত থাকার সন্দেহে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খুনের শিকার অজ্ঞাত যুবকের নাম ঠিকানা খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ বাদি হয়ে খুনের এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্তের সার্থে এর চেয়ে বেশীকিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ঘড়িয়ালডাঙ্গার গতিয়াসাম গ্রামের ওসমান আলীর পুত্র আব্দুল মালেকের বাড়িতে বুধবার রাতে খুনের ঘটনা ঘটে। মালেকের বোন মর্জিনা বেগমের কন্যা সীমা খাতুন (২৭) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতো। চাকুরী কালীন একই গার্মেন্টসে কর্মরত কুমিল্লার বাসিন্দা নিহত অজ্ঞাত যুবক (৩০) এর সঙ্গে সীমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় চার বছর পূর্বে তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মাঝে তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ কন্যা সন্তানের বয়স তিন বছর। কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে সীমা স্বামী সন্তানকে নিয়ে রংপুরের নাজিরের হাট এলাকায় তার পৈতৃক বাড়ির কাছে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরে আবারও কহল শুরু হলে সীমা তার মামা আব্দুল মালেককে সংবাদ দেয়। মামা মালেক কয়েকজনের সহযোগীতায় বুধবার দুপুরে ভাগনি ও জামাতাকে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র গতিয়াসাম গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। জামাতার সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল মালেক ও প্রতিবেশী মৃত নুর ইসলামের পুত্র বর্তমান রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়াই বাড়ি শাখায় রুপালী ব্যাংকের ঋণ কর্মকর্তা সাজু সরকারসহ কয়েকজন মিলে অজ্ঞাত ওই যুবককে বেধরক মারপিট করে। এক পর্যায়ে ঐ যুবক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা সাজু সরকার এবং আব্দুল মালেক এবং তাদের পরিবারের সবাই মিলে ঘড়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। সন্দেহ হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। রাজারহাট থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু ঐ পরিবারটি বহিরাগত হওয়ায় তাদের সম্পর্কে এলাকাবাসী এর বেশী কোন তথ্য জানাতে পারেনি।



মন্তব্য চালু নেই