রাণীনগরে লাগাতার বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ॥ রোপা-আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা

নওগাঁর রাণীনগরে কয়েক দফায় লাগাতার বৃষ্টিপাতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের রোপা-আমন চাষ যোগ্য ফসলী জমি সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে রোপা-আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় অব্যহত বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসায় ও রক্তদহ বিলের পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের রোপা-আমন চাষের জমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় ও জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা যথা সময়ে তাদের জমিতে ধান রোপণ করতে পারছে না। ফলে চলতি মৌসুমে রোপা-আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে একটু রোদ হলে স্থানীয় চাষিরা যে পরিমান ধান লাগিয়েছিল তাও আবার নিম্মচাপ ও ঝড়ো হওয়ার কারণে পানির ঢেউয়ের তোরে তোলিয়ে গেছে। এমন কি ধান লাগানোর জন্য চাষ-মই দেওয়া তৈরি জমিগুলো এবং বীজতলা পর্যন্ত পানির ঢেউয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।

এই এলাকার কৃষকরা গত ইরি-বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় এবং সরকারি পর্যায়ে ধান ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কেনাই বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে যার কারণে চাষিরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে জীবন-জীবিকার টানে কৃষকরা লাভ-লচের চিন্তা বাদ দিয়ে পুরোদমে রোপা-আমন চাষে মনোযোগ দিলেও বর্তমানে যে প্রাকৃতিক র্দূযোগ এ যেন মরার উপর খারার ঘাঁ।

রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ইউনিয়নে চাষ যোগ্য উচু এলাকায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানো সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে নিম্মচাপ ও ঝড়ো হওয়ার কারণে চাষ যোগ্য জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা তৈরি জমিতেও ধান রোপণ করতে পারছে না। যার ফলে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে রোপা-আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, অতি বৃষ্টিপাতের কারণে বিশেষ করে বিল অঞ্চলে কৃষকরা ধান লাগাতে পারছে না। যেহেতু মৌসুমের এখনও সময় আছে বৃষ্টি থেমে খরা ধরলেই কৃষকরা পূর্বের মত করে ধান লাগাতে পারবে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হবে তা বলতে তিনি নারাজ।



মন্তব্য চালু নেই