রাণীশংকৈল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাঞ্চিত!

234সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল লাঞ্চিত হয়।গত ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টার সময় হজ্ব সংক্রান্ত একটি বিষয় কে কেন্দ্র করে কলেজ হাট মসজিদের মুয়াজ্জিম শাহ আলমের সারের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।মুসা মিয়ার ছেলে ইউসুফ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাক বিতন্ডার এমন ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী মতে জানা যায়, পীরগঞ্জ পয়েন্দার মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮) ও তার মা মমতাজ বেগম (৬০) কে শাহ আলম হজ্বে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করে। চলতি বছরের হজ্বে যেতে না পারায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পুতুল বিষয়টি নিয়ে মুয়াল্লেম শাহ আলম সহ এলাকার গুটিকয়েক লোক জন নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে ইউসুফ আলী লাঞ্চিত করেছে বলে জানাযায়। প্রত্যক্ষদর্শী মতে জানা যায়, এসময় মোয়াল্লেম শাহ আলমের কাছে হজ্বের টাকা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরৎ চাইলে এমন ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পুতুল কে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০১ নং কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে ।এ সময় হাসপাতালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে দেখতে আ’লীগ নেতা কর্মীদের কেবিনে ভীর করতে দেখা গেছে।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন- ‘উত্তেজিত ইউসুফ আমাকে হঠাৎ করেই লাঞ্চিত করেছে।বিষয়টি আমি কোন মতেই ছাড় দিব না’ তিনি আরো বলেন- মিজানুর রহমান আমার ফুপাতো ভাই এবং মমতাজ বেগম আমার ফুপু। টাকা পয়সা দেওয়ার পরেও হজ্বে যেতে না পারায় আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্যে মোয়াল্লেম শাহ আলম কে নিয়ে সমাধানে বসেছিলাম, কিন্তু এমন একটি ঘটনা আমাকে হতভম্ব করেছে।অপরদিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সামসুলের ছেলে জুলফিকার ও হাবলু ডাক্তার বলেন-যদিও প্রথমে ইউসুফের গায়ে মহিলা ভইস চেয়ারম্যান হাত তুলেছে! বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।এই বিষয়টি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মামলারপ্রস্তুতি চলতে দেখা গেছে। রানীশংকৈল থানা অফিসার ইন্চার্জ রেজাউল করিম বলেন, এপর্যন্ত আমার থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই