রাতভর নায়িকাকে ধর্ষণ করেছে প্রযোজক !

বলিউডে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক নাবাগতাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল আলতাফ মার্চেন্ট নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই অভিনেত্রীর (৩০) কাছে প্রযোজক বলে নিজের পরিচয় দেন মার্চেন্ট। বেশ কয়েকটি কন্নড় ছবিতে অভিনয়ের পর বলিউডে পা রাখতে চেয়েছিলেন ওই অভিনেত্রী। যে কারণে আলতাফ মার্চেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এফআইআরে ওই অভিনেত্রী বলেন, আশরাফ মার্চেন্ট নামে এক বন্ধুর মাধ্যমে আলতাফের সঙ্গে তার আলাপ। আলাপের পর তাকে এক সময় জোর করে মাদকের নেশা ধরিয়েছিলেন মার্চেন্ট (৫৫)। ক্রমে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সেই নেশা ছাড়াতে তাকে রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করতে হয়।

এফআইআর থেকে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নবাগতা ওই অভিনেত্রী প্রথমবার মার্চেন্টের বান্দ্রার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অপ্রস্তুত হন। কারণ, বান্দ্রার ওই বাড়িতে তখন জমে উঠেছিল নেশার আড্ডা। বেশ কয়েক জন অল্প বয়সি ছেলে-মেয়ের একসঙ্গে বসে নেশা করছিলেন মার্চেন্ট।

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকেও মাদক নেওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ব্যক্তি। অস্বীকার করলে, বলা হয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে, একটু আধটু নেশা করতেই হয়। এর পরেও রাজি না-হওয়ায়, চুলের মুঠি ধরে পাশের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে, মুখে সাদা পাউডার ধরনের কিছু একটি দিয়ে দেয়।’

ওই নবাগতা অভিনেত্রীর ধারণা, সেটি ছিল কোকেন। সেদিন রাতে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন ওই অভিনেত্রী। তার বর্ণনা অনুযায়ী, ‘পরদিন সকালে যখন ওই বাড়ি থেকে বেরোলাম, মাথা ভার হয়ে ছিল। যৌনাঙ্গেও যন্ত্রণা হচ্ছিল। মার্চেন্ট একাই ধর্ষণ করেছিল, নাকি সঙ্গে আরও কেউ ছিল, সত্যি আমি জানি না। কারণ, ওই রাতে আমি আর হুঁশে ছিলাম না।’

এই ঘটনার পরেও ছয় মাস তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হয়। এর মধ্যে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সেই অভিনেত্রী।

তার অভিযোগ, তাকে দিয়ে জোর করে নোংরা সিডিও করানো হয়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝে এর পরই মুম্বাই ছেড়ে সোজা চণ্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। কিন্তু বাড়ি ফিরেও স্বস্তি ছিল না। নিয়মিত ফোন করে ওই ব্যক্তি তাকে হুমকি দিতেন, ‘মুম্বাইয়ে না ফিরলে অশ্লীল ছবি অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়া হবে।’

একটুও ভয় না পেয়ে বাড়িতে গোটা ঘটনার কথা জানান ওই অভিনেত্রী। পরিবারের পরামর্শেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নেন। রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসা করিয়ে একটু সুস্থ হতেই মুম্বাইয়ে এসে বান্দ্রা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এফআইআরের পর অভিযুক্ত মার্চেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্র মিডডে ও এই সময়



মন্তব্য চালু নেই