রাতের আধারে উখিয়ায় যাত্রী চাউনী দখল, এলাকায় ক্ষোভ

কক্সবাজারের উখিয়া সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীটি সন্ত্রাসীরা দখলে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনীটি সন্ত্রাসীরা রাতা-রাতি ইটের দেওয়াল দিয়ে দোকান নির্মান করে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদের পিয়ুন উখিয়ার কালু মৌলভীর জামাই রেজাউল করিম ও মিন্টু ভান্ডারী আতাঁত করে রাতা রাতি ইটের দেওয়াল দিয়ে সরকারী যাত্রী ছাউনী দখল করে অন্য জনকে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার আগে সচেতন মহলরা এগিয়ে এসে নির্মিত ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।

উখিয়া সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন , স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র- ছাত্রীদের যাতায়তের সুবিধার্থে নির্মিত যাত্রী ছাওনীটি সন্ত্রাসীরা দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা করাটা খুব দুঃখ জনক বলে তিনি মন্তব্য করেছেন ।

সাথে সাথে যাত্রী ছাওনী দখলের সাথে জড়িতদের খুজে বের করে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য জেলা পরিষদ প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহীর নিকট অনুরোধ জানান। তবে উখিয়া ষ্টেশনের বহু অঘটনের হোতা ও অনেক ব্যবসায়ীকে চলচাতুরীর মাধ্যমে ক্ষতি করা গডফাদার মিন্টু ভান্ডারী গতকাল বলেন, আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎক্ষালীন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আব্দুল মান্নান মেহেদী আমাকে এটি ভাড়া দিয়েছেন।

তবে জেলা পরিষদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দায়িত্বশীল লোকজন জানিয়েছেন জেলা পরিষদের যে কোন সহায় সম্পদ হস্তান্তর, ভাড়া বা অন্য কোন কিছু করতে গেলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী করার বাধ্যবাদকতা রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এ গুলোর কোন কিছু তোয়াক্কা না করে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলাম কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,অতি শীঘ্রই তদন্ত পূর্বক যাত্রী ছাউনী দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এতে যদি আমার পরিষদের কোন কর্মচারী জড়িত থাকে তাহলে থাকে ও ছাড় দেওয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই