রাতের ঢাকার অজানা ‘নিষিদ্ধ কথা’ (ভিডিও)

বহু বছর আগে যাঁদের বেশ্যা, পতিতা, গণিকা, বারাঙ্গনা, দেহোপজীবিনী, বারবণিতা ইত্যাদি নামে বলা হত, গত দশ-পনেরো বছর ধরে অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের যৌনকর্মী নামে উল্লেখ করা হচ্ছে।

আজকাল পৃথিবীর সব দেশেই তাঁরা নিজেদের সেক্স ওয়ার্কার বা এর কোনও প্রতিশব্দে অভিহিত হতে চান, কারণ তাঁরা মনে করেন অন্যান্য পেশার মতই যৌনকর্মও একটি পেশা।

বৃটিশ যুগে যৌনবৃত্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে আজকের যৌনবৃত্তির আইন, রাষ্ট্রের বিধি-নিষেধের ফাঁক দিয়ে বেড়েই চলেছে এ কর্ম। রাত বাড়তেই রাজধানী ঢাকারর ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মালিবাগ, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, গাবতলী এলাকায় দেখা মেলে ভাসমান যৌনকর্মীর। দুই পাশের রাস্তা, ফুটপাত ছাড়াও ফুটওভার ব্রিজে খদ্দেরের অপেক্ষায় থাকেন তারা। বিভিন্ন পার্কেও রাতভর দেখা মেলে অসংখ্য যৌনকর্মীর। ফার্মগেট পার্কে এমনি কয়েকজন ভাসমান যৌনকর্মী সাথে কথা হলে তারা জানালেন, জীবিকার জন্য যৌনকর্ম করলেও এটাকে তারা ‘সেবামূলক’ কাজ হিসেবেও দেখেন।

তাদের একজন সাবিনা (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলে, আমরা নাকি পার্কের পরিবেশ নষ্ট করছি। আমরা আছি দেখেই তো রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা, হকাররা আসতে পারে। আরেক যৌনকর্মী ইয়াসমীন (ছদ্মনাম) বলেন, অনেকে হা করে তাকিয়ে থাকে, আমরা পুরুষ খুঁজি কিন্তু তারও একটা ভদ্রতা আছে। এ পেশায় আসায় অনেকে খুব খারাপভাবে দেখে, কটুকথা বলে। আমরা না হয় টাকার কারণে এ কাজ করি, কিন্তু যে পুরুষ আসে তাকে তো কেউ খারাপ চোখে দেখে না!

পার্কেরই এক যৌনকর্মী জানালেন, মাঝে মাঝে কম বয়সী চাকরিজীবী ও ছাত্রদের ডাকও পড়ে। তিনি বলেন, সবাই তো আর কম বয়সে বিয়ে করে না। চাকরি পেতেই অনেকের বয়স বেড়ে যায়। আবার রিকশাচালকরা দেখা যায় ঢাকায় একাই থাকে। এদের কি চাহিদা নাই? আমরা না থাকলে রাস্তাঘাটে মেয়েদের আর হাঁটার সুযোগ থাকবে না।

হোটেল আর রাজপথ পেরিয়ে তারা যুক্ত হয়েছে হোম সার্ভিসে। তাদের এ পেশার নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী দালাল চক্র। এরা প্রকাশ্যে চলার পথে হাত বাড়িয়ে পথিকদের হাতে ধরিয়ে দেয় তাদের ভিজিটিং কার্ড। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, বাজার, অলিগলি ও অফিস-আদালতের সামনে দালালরা এসব কার্ড বিলি করে। যে কোন প্রয়োজনে ফোন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মুহূর্তেই জনতার ভিড়ে অদৃশ্য হয়ে যায় তারা। পার্ক, ওভারব্রিজ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি। টার্গেট করা পথচারীকে তারা ডাকে মামা বলে। মামা যেমন বয়সের দরকার সব ব্যবস্থা আছে। জায়গার সমস্যা হলে বলবেন। তবে রেটটা বাড়িয়ে দিতে হবে।

ভিডিওটি দেখুন এখানে…



মন্তব্য চালু নেই