রান্নাঘরের সিঙ্কটিকে জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার করার সহজ ৪ উপায়

রান্না ঘরের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অংশটি হচ্ছে সিঙ্ক এবং এটি নোংরাও হয় খুব তাড়াতাড়ি। থালা-বাসন ধোয়ার পর খাদ্যের অবশিষ্টাংশ ও তেল থেকে যায় সিঙ্কে যা হতে পারে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর প্রজনন ক্ষেত্র। যার ফলে ডায়রিয়া ও ফুড পয়জনিং হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। আপনি হয়তো ভাবছেন সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট। কিন্তু না সিঙ্ককে জীবাণু মুক্ত করার জন্য ২/৩ দিন পর পর ডিপ ক্লিনিং প্রয়োজন। আসুন তাহলে এমন চারটি পদ্ধতির কথা জেনে নিই যার মাধ্যমে আপনার কিচেনের সিঙ্কটিকে জীবাণু মুক্ত করতে পারেন খুব সহজেই।

১। ফুটন্ত পানি

সিঙ্কে জমে থাকা তেল-চর্বি দূর করতে চমৎকার ভাবে কাজ করে ফুটন্ত গরম পানি। তাই আপনার রান্না ঘরের সিঙ্কটিকে সাবান ও মাজুনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। তারপর এতে এক হাঁড়ি ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিন। এছাড়াও যখনই সম্ভব গরম পানি ঢেলে দিতে পারেন সিঙ্কে।

২। ভিনেগার ও লেবুর রস

কিচেনের সিঙ্ক পরিষ্কার করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে ভিনেগার ও লেবুর রস ব্যবহার। লেবু ও ভিনেগার প্রাকৃতিক এসিড হিসেবে কাজ করে। তাই লেবু ও ভিনেগার মিশিয়ে কিচেন সিঙ্কে দিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। তারপর সিঙ্কটি ঘষুন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩। বেকিং সোডা

বেকিং পাউডার সিঙ্ক পরিষ্কার করার পাশাপাশি রান্না ঘরের অন্যান্য জিনিস পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। সিঙ্কের পানি যাওয়ার আবদ্ধ পথটিকে পরিষ্কার করার জন্য ও চমৎকার ভাবে কাজ করে বেকিং সোডা। এই ম্যাজিকেল পাউডারটি আপনার সিঙ্কে ভালো করে ছিটিয়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর মাজুনি বা সফট ব্রাশ দিয়ে ঘষে পানি ঢেলে দিন। জীবাণু মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আপনার সিঙ্কটি নতুনের মতোই ঝকঝক করবে। বেকিং সোডা হচ্ছে বহুমুখী পরিষ্কারক গুণ সম্পন্ন উপাদান যা প্রতিটি রান্না ঘরেই থাকা আবশ্যক।

৪। নিম পাতা

নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা বেশীর ভাগ মানুষই জানেন। একটি বড় পাত্রে পানি ও কয়েকটি নিম পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই ফুটানো পানি সিঙ্কে ঢেলে দিন। এবার একটি প্রাকৃতিক মাজুনি দিয়ে ভালো করে ঘষে পানি ঢেলে দিন।



মন্তব্য চালু নেই