রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: ছাত্রলীগের তিন নেতার স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ। বুধবার বেলা ১২টায় রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা।

গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ দুই কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএ’র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের অব্যহতি পাওয়া সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন (শিক্ষাবর্ষ ২০০৭-০৮), ফিশারীজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি (শিক্ষাবর্ষ ২০০৭-০৮) এবং একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের বর্তমান কমিটির সভাপতি মামুন-অর-রশিদ (শিক্ষাবর্ষ ২০০৯-১০)।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক টগর মো সালেহ, উপছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান সিনহা।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘অভিযুক্তরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বে ও স্থায়ী বহিষ্কার করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিলো কিন্তু আদালতের রায় না হওয়ার আগেই রাবি প্রশাসন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করে আদালত অবমাননা করেছে। এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন হামলা চালানো হয়েছে। তাদের কারোর ছাত্রত্ব বাতিল করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আপনারা ছাত্রলীগকে মূল্যায়ন করতে পারছেন না।’

সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘প্রগতিশীল ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মানুষ মেরে ফেলার পরও শিবিরের ছাত্রত্ব বাতিল হয় না। আওয়ামীলীগ সরকার না থাকলে আপনারা ওই চেয়ারে থাকতেন না।’

মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই