রাবিতে ‘১৯ কুঁড়ির’ আয়োজনে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: ‘আমরা স্বপ্ন দেখি আনেক কিছু করার। শিল্পকর্ম দিয়ে দূর করে দিতে চাই পৃথিবীর যত অন্ধকার। মানুষকে ভালোবেসে এগিয়ে যেতে চাই হাতে হাত রেখে।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ১৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারজানা তাসনিম রিতু।

চারুকলা অনুষদের গ্যালারীতে তিনদিনব্যাপি শুরু হওয়া শিল্পকর্ম প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। নিজের শিল্পকর্ম দেখাতে দেখাতে যুক্ত করলেন, সবে তো কুঁড়ি হয়ে ফোঁটার সময়। আমাদের ব্যাচের সবাই মিলে এটাই প্রথম কিছু করার প্রচেষ্টা। আর ১৯ তম ব্যাচ হওয়ায় দলের নাম দেয়া হয়েছে ‘১৯ কুঁড়ি’। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তিনদিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার।

এ প্রদর্শনীতে ৫১ জন শিক্ষার্থীর প্রায় ৯০ টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এসব শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প, কারুশিল্প, আলোকচিত্রসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম। তরুণ শিল্পীরা তৈলচিত্র, কাঠ খোদাই, পোঁড়া মাটি দিয়ে তুলে ধরেছেন গ্রাম বাংলার চিত্র, মহাভারতের কাহিনী, গ্রামীন জন-জীবনের চিত্র, মা, আড্ডাখানা , প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যসহ সমাজের নানা উপজীব্য বিষয়। আর এসব মনকাড়া সব চিত্র দেখতে সকাল থেকেই আর্ট গ্যালারীতে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা।

চিত্রকর্ম প্রদর্শণীর আহ্বায়ক রুপ কুমার রায় বলেন, ‘নতুন কিছু করার চিন্তা থেকেই এধরনের আয়োজন। সেই সাথে সৃষ্টিশীল কর্মের মধ্য দিয়ে রাবিকে তুলে ধরতে চাই।

প্রদর্শনী দেখতে আসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সত্য সরকার বলেন, চারুকলা বিভাগের এই প্রদর্শনীর এক একটি শিল্পকর্মের অন্তরালে লুকিয়ে আছে গভীর তাৎপর্য। চিত্রকর্মগুলোর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে সমাজের নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতির কথা। এসব চিত্রকর্মের তাৎপর্য বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলে জীবন যেমন হয়ে উঠবে মোহনীয় তেমনি বিশ্বমানবতার কল্যাণ সাধিত হবে।

প্রদর্শনীর আয়োজকদের একজন শারমিন সাফিয়া স্বর্ণা বলেন, শিল্পকর্মের মাধ্যমে সমাজের নানা দিকের বহি:প্রকাশ ঘটাতে এবং চারুকলা বিভাগকে সকলের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে নিয়ে প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। দর্শকদের উপস্থিতি দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।



মন্তব্য চালু নেই