রাবি শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহানের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টায় ওই শিক্ষকের ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘পেনাল কোড ৩০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ধারাটির অর্থ হলো, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া। তবে এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারো না কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শিক্ষক আকতার জাহান আত্মহত্যা করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।’

ওসি আরো বলেন, ‘মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই মামলাটির তদন্ত করা হবে। আকতার জাহানকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেন বলে তদন্তে বেরিয়ে আসলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

কয়েক বছর আগে স্বামী তানভীর আহমদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শিক্ষক আকতার জাহানের। এরপর থেকে তিনি নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতেন। রাবির জুবেরি ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে এই কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কক্ষে তার হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শিক্ষক আকতার জাহানের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর স্বজনরা তার লাশ গ্রহণ করেন। বিকেলে রাবিতে তার লাশের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার লাশ ঢাকায় নেওয়া হয়। আকতার জাহান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। তবে শিক্ষকতার জন্য থাকতেন রাজশাহীতে।

শিক্ষক আকতার জাহান তার সাবেক স্বামীর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক, মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করলাম। সোয়াদকে (ছেলে) যেন ওর বাবা কোনোভাবেই নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে- সে যে কোনো সময় সন্তানকে মেরে ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে।’



মন্তব্য চালু নেই