রাবি শিক্ষকের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে নিহতের ছোট ভাই কামরুল হাসান রতনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

মামলা করা হবে কিনা এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন বলেন, ‘আমরা এখনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়নি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার এনামুল হক বলেন, সুরতহাল এবং ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। সুরতহালে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য একটু অপেক্ষা করা লাগবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আমীর জাফর বলেন, তার লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দিলে সেই অনুযায়ী তদন্ত করে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাতিল সিরাজ বলেন, ‘শনিবার সকালে আকতার জাহানের ছোটভাই, ভগ্নিপতি ও চাচাতো ভাইয়েরা রাবিতে এসে পৌঁছায়। দুপুরে পরিবার ও আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেল ৪টায় রাবিতে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের সদস্যরা পরবর্তীতে মামলা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন থেকে নিজের আবাসিক করে দরজা ভেঙে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আকতার জাহানের একমাত্র সন্তান আয়মান সোয়াদ ঢাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। প্রায় চার বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় আকতার জাহানের। তার সাবেক স্বামী একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদ। আকতার জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে একাই থাকতেন।



মন্তব্য চালু নেই