‘রামপালের কারণে ৫ কোটি মানুষ দুর্যোগের মুখে পড়বে’

রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্পগুলোর প্রভাবে দক্ষিণ জনপদের পাঁচ কোটি মানুষ দুর্যোগের মুখে পড়বে। একই সঙ্গে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ জীবন-জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তু হবে। যে কারণে অবিলম্বে এ ধরনের সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত উপকূলীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহম্মদ এ সব কথা বলেন।

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিটির খুলনার সংগঠক মনোজ দাস।

মহাসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, জোনায়েদ সাকি, বহ্নিশিখা জামালী, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সামছুল আলম, মোশাররফ হোসেন নান্টু, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, নাছির উদ্দিন নাসু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

মহাসমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের মিথ্যাচার ছড়িয়ে সরকার রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী অপ-তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের বোঝা চাপবে বাংলাদেশের ঘাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের অনেক বিকল্প আছে, কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই।’

সমাবেশ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলা উপজেলা পর্যায়ে সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ, মে মাসে সুলভ, পরিবেশ বান্ধব, ঋণ বা অপচয় মুক্ত বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে সরবরাহের জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ মহা-পরিকল্পনা উপস্থাপন ও দেশব্যাপী তা নিয়ে জনমত গঠন, ১৫ জুলাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে টেকসই, পরিবেশ বান্ধব, কর্মসংস্থান নির্ভর উন্নয়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন, ২৫ জুলাই শ্যামনগর থেকে শরণখোলা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে মানববন্ধন ও তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশে-বিদেশের সংহতি কর্মসূচি এবং ৯ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন আন্দোলনে যুক্ত সকল দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সুন্দরবন কনভেনশন।

সমাবেশে বলা হয়, এরপরও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প বাতিল করা না হলে রামপাল মার্চ, দেশব্যাপী হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ভারত ও আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার সহায়তায় প্রকল্প বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে মনিরুল হক বাচ্চু, অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন, জনার্দন দত্ত নান্টু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, রূহুল আমীন, কাজী দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট এস এম শাহ নেওয়াজ আলী, অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার, এম এ কাশেম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।



মন্তব্য চালু নেই