রামপালের বিপক্ষে ঢাবির ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী

সুন্দরবনের রামপালে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত প্রতীকী গণভোটের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীরাই রায় দিয়েছেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ ফলাফল ঘোষণা করেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। এ গণভোটের আয়োজক সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

ফলাফলে দেখা যায়— গণভোটে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এতে রামপালের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৯ হাজার ১৪৮ জন শিক্ষার্থী। আর পক্ষে ভোট দেন মাত্র ৮৬০ জন শিক্ষার্থী। বাতিল হয়েছে ১০৩টি ভোট।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অনেক বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে যারা এ প্রতীকী ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। রামপালের বিরুদ্ধে তাদের এ ৯০ শতাংশ ভোট স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আন্তর্জাতিক জরিপ দেখেছি। যে কোনো পরিসংখ্যানে নমুনা সংখ্যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নমুনা সংখ্যা হিসেবে ১০ হাজার ১১১ অনেক বড় একটা সংখ্যা। আমরা অনেক আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানে দেখেছি এর চেয়েও অনেক কম নমুনা সংখ্যা নিয়ে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মতামত গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের যে জরিপ হয় তাও এর চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পরিসংখ্যান অবশ্যই একটা প্রতিনিধিত্বপূর্ণ সংখ্যা।

আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, যারা রামপালের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের ভোটকে অমি যৌক্তিক বলে মনে করি না। কারণ তারা অধিকাংশেই সুবিধাভোগী, কেননা এর মাধ্যেমে তাদের পকেটে কিছু পয়সা আসবে। আর বাকিরা চাপের মুখে সরকারের আনুগত্য প্রকাশ করে এটি করেছেন।

আজ প্রধানমন্ত্রী যদি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ঘোষণা দেন তাহলে দেশের শতকরা ৯৯ শতাংশ লোকই সুন্দরবনের পক্ষে ও রামপালের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাবি সভাপতি ইভা মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই