রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়াই সংসদে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ আইন পাস

দেশে বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ৮৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার তহবিল পরিচালনার বিধান রেখে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপট্রাস্ট আইন, ২০১৬ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

এ সম্পর্কে সংশোধনী প্রস্তাবকারী ফখরুল ইমাম বলেন, বিলে টাকা ব্যয়ের বিষয় জড়িত থাকার পরও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিলের দুই জায়গায় দুই নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিলটি পাস করা হলে অকার্যকর বলে গণ্য হবে। বিলগুলিভালো ভাবে পরীক্ষা করে পাস করা উচিত।

বিরোধী দলকে উপেক্ষা করে ব্রুট মেজরিটির জোরে যেভাবে বিলগুলি পাস করে নেওয়া হচ্ছে, তাতে সরকারি দলের চরিত্র প্রকাশিত হচ্ছে। তাই কথা বলতে ভয় হয়।

এছাড়াও বিলটি সংশোধনের জন্য হাজী সেলিম, মো: আবদুল মতিন ও ফখরুল ইমাম আনীত দফা ৩ ও ১৯ সংশোধনী গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন।

পরে সংশোধনীসহ বিলটি সংসদের স্থিরকৃত আকারে পাস হয়। বিলে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ও মন্ত্রলায়ের সচিব এই ট্রাস্ট্রের প্রধান ও সদস্য সচিব হবেন। তথ্য, শিক্ষা, অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রতিনিধিরা ট্রাস্ট্রের সদস্য থাকবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরী এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১০ সালোর জুলাই মাস থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ অন সাইন্স এন্ড আইসিটি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপপ্রদানের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ প্রেক্ষিতে গত বছর ২৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় আইনটি অনুমোদন লাভ করে। আইনটিতে সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী বিলটিতে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই