‘রাষ্ট্রপতি যা বলছে, তার উল্টোটা করছে সরকার’

রাষ্ট্রপতি ‘মুক্ত গণমাধ্যমের অপরিহার্যতার’ কথা বললেও সরকার এক্ষেত্রে তার উল্টো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, “রাষ্ট্রপতি গণমাধ্যমকে ‘সাহস করে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার’ পরামর্শ দেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যমের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’। কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? সরকার মহামান্য রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো কাজই করছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে বছরের পর বছর জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টেলিভিশনসহ ভিন্নমতের মিডিয়াকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শওকত মাহমুদের মতো একজন গুণী সাংবাদিক এবং সাংবাদিক নেতাকে বিনা অপরাধে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’

‘মাহমুদুর রহমান যাতে জেল থেকে বের হতে না পারেন, সেজন্য সরকার নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে’ অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাকে (মাহমুদুর রহমান) আরো মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা করছে।’ তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করেন।

রিজভী দাবি করেন, ‘মাহমুদুর রহমান বিনা অপরাধে জেলে বন্দি থাকার প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে। উচ্চ আদালত থেকে তার সবগুলো মামলার জামিন হয়েছে এবং কোর্ট থেকে বেইলবন্ড বা জামিননামাও যথারীতি কারাগারে পৌঁছেছে। কিন্তু তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের সর্বশেষ মামলার জামিননামা গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগারে পৌছে। নিয়ম অনুযায়ী পরদিন শুক্রবার সকালেই তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা।

“কিন্তু সরকার একটি মানহানির মামলায় পিডব্লিউ বা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার না করার অজুহাত দেখিয়ে তাকে সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অবৈধভাবে আটকে রেখেছে।”

সরকারের অপকর্মের কথা, দুর্নীতি-লুটপাট এবং কেলেঙ্কারি নিয়ে মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকায় অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছেপেছেন বলেই সরকার তার প্রতি বিরাগভাজন হয়েছেন বলে দাবি করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি মাহমুদুর রহমান, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, শওকত মাহমুদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই