রিজার্ভের অর্থ লোপাটে সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা (এ পর্যন্ত সরকারের স্বীকারকৃত) লোপাট বা চুরি হয়ে গেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ন্যাক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনা এটি। এ টাকা চুরিতে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত। যা বাংলাদেশ ব্যাংকও স্বীকার করেছে। আর দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা এখন উড়ছে ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

দেশের অর্থনীতিকে রাবিশে পরিণত করা হয়েছে- এমন অভিযোগ করে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘৮০০ কোটি টাকা চুরি হয়ে যাওয়ার পরও অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কোনো নৈতিক অধিকারে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন, তা দেশবাসী জানতে চায়। আমরা অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।’

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ নেতারা যারা গত তিন বছরে সরকারি কাজের বাইরে ঠুনকো অজুহাতে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, হংকং, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, দুবাই ভ্রমণ করেছেন। তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান করলেই এ আন্তর্জাতিক জালিয়াতি চক্রের রাঘববোয়ালদের সংশ্রব বেরিয়ে আসবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন রাঘববোয়াল পর্যায়ের কর্মকর্তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে।’

দেশের সমস্ত ব্যাংক আজ ফোকলা হয়ে পড়েছে- অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দেশে আজ চুয়াত্তরের অবস্থা বিরাজ করছে। সে সময় যেভাবে ব্যাংক লুট ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটতো, এখনো তা অহরহ ঘটছে। বর্তমানে দেশের আর্থিক খাত ভেঙে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংস হতে আর সময় লাগবে না।’

অবস্থার উত্তোরণে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে ঐক্যবদ্ধভাবে লুটপাটের অর্থনীতি মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিএনপি সেটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই