রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন আটকে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আটকে রেখেছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধির কাছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হলে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী জানান, আমরা ফরাসউদ্দিন সাহেবের প্রতিবেদন দেখতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ওই প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে রয়েছে, তিনি প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।

সাবেক এই ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, অর্থমন্ত্রী দায়িত্বশীল ব্যক্তি। কিন্তু সংসদ এবং সংসদীয় কমিটিকে তো এটা (প্রতিবেদন) দেখাতে হবে।

বৈঠকে পরে প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করে পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিনিধিকে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আবদুর রউফ এবং নাভানা আক্তার অংশ নেন।

এর আগে প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও ক্ষোভ প্রকাশ করে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটিও ওই প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চেয়েছিল। এছাড়া সংসদ থেকে পাঠানো বৈঠক সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি মেসেজে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে। আর আরেক আদেশে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয় ২০ লাখ ডলার।

ওই ঘটনায় মার্চে সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ফরাসউদ্দিন গত ৩০ মে ওই প্রতিবেদন দেওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, রিপোর্টে যা আছে, তা অবশ্যই প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আজও তা প্রকাশ করা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই