রিজার্ভ চুরি তদন্তে তিন দেশে যেতে হবে: সিআইডি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও তিনটি দেশে যেতে হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। এই অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র জড়িত বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ শুক্রবার বিকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লাহ হেল বাকী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের ঘটনা একটি ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম। এ ঘটনায় বাংলাদেশসহ আরও তিনটি দেশের অপরাধী জড়িত। বাংলাদেশে তদন্ত শেষে অন্য তিনটি দেশে তদন্ত শুরু হবে।

এছাড়া রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তের বিষয়ে আগামী রবিবার বৈঠক করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই। শুক্রবার এফবিআইয়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও আজ কার্যদিবস না হওয়ায় শিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার ব্যাপারে সিআইডি আশাবাদী। এফবিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে তদন্তে অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে তদন্ত সংস্থা।

সার্বক্ষণিক সিআইডির দল বাংলাদেশ ব্যাংকে অবস্থান করছে জানিয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমরা যা তথ্য সংগ্রহ করছি তার বিচার বিশ্লেষণ করছি। সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্ক সিস্টেমের আওতায় সাড়ে চার হাজার কম্পিউটার রয়েছে। আমরা প্রত্যেকটা কম্পিউটার ধরে ধরে তথ্য ও অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, কোন কম্পিউটার থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বের করার জন্য।

সম্প্রতি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়, যা বাংলাদেশি প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। পরে জানা যায়, এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের আরবিসি ব্যাংকের একটি শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। এ অর্থ পরে ফিলিপাইনের তিনটি ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে চলে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই