রিজার্ভ চুরি নিয়ে একমাস কথা বলবে না কমিটি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করেছেন সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন। রোববার বিকেলে রাজধানীর হেয়ার রোডে অর্থমন্ত্রীর বাসভবনে তিনি সাক্ষাৎ করেন।

তবে সেখান থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এটাই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম আলোচনা। রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি তদন্ত খুবই স্পর্শকাতর। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। এই তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। তাই তদন্তের সুবিধার্থে এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরির ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস এবং বুয়েটের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা থেকে ৮শ কোটি টাকা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি ধামা চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও ফিলিপাইনের একটি সংবাদ মাধ্যমে তা ফাঁস করে দেয়। মূলত ফিলিপাইনের কয়েকটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, চুরি যাওয়া অর্থের কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ফিলিপাইনের অর্থ পাচারবিরোধী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে বাকি অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির এই ঘটনার জেরে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদ ছেড়েছেন ড. আতিউর রহমান। এদিকে রিজার্ভ লুটের এই ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া স্যানটোস দেগুইতোকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে দাবি তার।

এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।



মন্তব্য চালু নেই