রিজার্ভ চোরদের আইনের আওতায় আনা হবে

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, যা এখনও তদন্তাধীন রয়েছ। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দেশি কিংবা বিদেশি যেই হোক না কেন সবাইকে আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

সোমবার (০২ মে) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিশেনে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিউর রহমান গত ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দু’জন ডেপুটি গভর্নরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় প্রেরিত অর্থের প্রায় পুরোটাই (১৯.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ইতোমধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, নিউইয়র্কে জমা হয়েছে। এছাড়া ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সরকারের কাজ করছেন।’ এ নিয়ে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির সব শুনানিতে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া-৫ আসনের মো. হাবিবুর রহমানের কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা নিয়ে করা অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মোট শাখা ২১২টি। এর মধ্যে জেলা সদরে ৬৪টি, ঢাকা ব্যতীত ঢাকা মহানগরীতে ৬টি এবং উপজেলা সদরে ১৪২টি শাখা রয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য শাখা খোলার পরিবর্তে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সেবা চাল করেছে। এর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা চালুর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবু’র প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সব অত্যাধুনিক আন্তঃব্যাংক লেনদেন পদ্ধতির সেবা গ্রাহকের দোরগোরায় পৌঁছে দেয়ার জন্য দেশের অধিকাংশ তফসিলি ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে।’



মন্তব্য চালু নেই