রুপচর্চায় শসার ব্যবহার জেনে নিন

শসার গুণ রয়েছে বহু; যা বলে শেষ করা যাবে না। শসা যেমন সালাদ, রান্না-বান্নায়, খাওয়া-দাওয়ায় ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় রূপচর্চায়ও। এছাড়া সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য শসার বিকল্প নেই। চলুন রুপচর্চায় শসার ব্যবহারগুলো জেনে নিই………

যেকোনো ঋতুতেই আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাজারের ময়েশ্চারাইজার ত্বকের তেমন কোনো উপকারে আসে না। এগুলো ত্বকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এসব ত্বকের ক্ষেত্রে মুখে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

মুখের কালো দাগ সারাতে কচি শসার রস লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত লাগালে দাগ উঠে যায়।

শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এবার দেখুন মুখের রং কতোটা উজ্জ্বল ও কোমল হয়। তবে নিয়মিত কিছুদিন করতে হবে।

চোখের নিচে অনেকেরই কালো দাগ পড়ে। শসার রস নিয়মিত মাখলে এ দাগ দূর হবে।

মনে রাখবেন যদি কেউ ফর্সা হতে চান তবে নিয়মিত শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে, হাতে ও গায়ে নিয়মিত মাখলে গায়ের রং ফর্সা হয় অথবা শসা পাতলা পাতলা করে কেটে মুখে ঘসে নিতে পারেন। পরে শুকোলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে শসা খুবই উপকারী। তার জন্যে শুধু শসার রসই ভালো।

মুখকে রোদ থেকে বাঁচাতে, মুখের দাগ তুলতে ও ময়লা থেকে যদি রেহাই পেতে চান তবে শসার সাহায্যে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে আধঘণ্টা রেখে প্রথমে গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এতে ত্বক সারাদিনের জন্যে যেমন চকচকে, মসৃণ ও কোমল থাকবে তেমনি বাইরের নানান জীবাণু থেকে ত্বক রেহাই পাবে।



মন্তব্য চালু নেই