রুহানির সম্মানে নগ্নমূর্তি ঢাকল ইতালি

ইতালিতে সফরের সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সম্মানে একটি জাদুঘরের নগ্নমূর্তি ঢেকে দেওয়া হয়। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির নির্দেশে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নগ্নমূর্তিগুলো ঢেকে দেয়।

ইতালির রাজধানী রোমে ঐতিহাসিক ক্যাপিটোলাইন জাদুঘরে রাখা ঐতিহ্যবাহী রোমান মূর্তিগুলো কাঠের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সফররত ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি যেন বিব্রতকর অবস্থায় না পড়েন- সে জন্য জাদুঘর কর্র্তৃপক্ষকে এ কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ডয়চে ভেলের এক খবরে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমাবর ক্যাপিটোলাইন জাদুঘরে রোমান ইতিহাসের অন্যতম সফল শাসক অশ্বারোহী মারকাস অরেলিয়াসের বিশাল ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন হয়, যেখানে রুহানি ও রেনজি কথা বলেন। ইতালি ও ইরানের মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। সম্ভবত এই কারণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী রেনজি কঠোর ধর্মীয় শাসনের দেশ প্রজাতান্ত্রিক ইরানের প্রেসিডেন্টের সম্মানের দিকটি এত বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন।

রুহানির সম্মানে নগ্নমূর্তি ঢেকে দেওয়ার সমালোচনা করে ইতালির বিরোধীদলসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, এর মাধ্যমে ইতালির সংস্কৃতিকে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে। অন্যের সংস্কৃতিকে মর্যাদা দিতে গিয়ে নিজেদের হীনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। র্শিল্প-সংস্কৃতির বিশ্বজনীন ধারণায় এটি লজ্জাজনক কাজ।

জাদুঘরে নগ্নমূর্তি ঢেকে দেওয়া ছাড়াও রুহানির সম্মানে ইতালির প্রেসিডেন্ট সারজিও মাত্তারেলার দেওয়া ভোজসভার মেন্যু থেকে মদ বাদ দেওয়া হয়। রুহানির কারণে ইতালির ঐতিহ্যবাহী প্রথায় পরিবর্তন আনাকে গর্হিত কাজ বলে সমালোচনা করেছেন অধিকাংশ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

বিদেশি কোনো অতিথির সম্মানে এই প্রথম নগ্নমূর্তি ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন প্রধানমন্ত্রী রেনজি, বিষয়টি তেমন নয়। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স ইতালির ফ্লোরেন্স সফরের সময় অর্ধনগ্ন একটি মূর্তি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দেন রেনজি। সেবারও তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

ইতালি থেকে বুধবার ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রুহানি। ইতালি যেমন তার সম্মানে নগ্নমূর্তি ঢেকে দিয়েছে এবং খাবারের মেন্যু থেকে মদ বাদ দিয়েছে, ফ্রান্সে হয়তো তা হবে না। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রেখে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছে ফ্রান্স।



মন্তব্য চালু নেই