রেলের স্লিপারের স্থানচ্যুতি ঠেকাতে বাঁশ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মনু রেল সেতুতে স্লিপারের উপর কাঠের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে।

সেতুটির কাঠের স্লিপারের অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। স্লিপারগুলো যাতে স্থানচ্যুত না হয় এবং দুর্ঘটনা না ঘটে, এ জন্য স্লিপারের ওপর বাঁশ স্থাপন করে পেরেক ঠুকে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মনু নদীর ওপর প্রায় ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুতে ২০৮টি স্লিপার রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো স্লিপার প্রায় নষ্ট। সেতুটির ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। সেতুটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কেপিআই) একটি। সেতুর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত স্লিপারে পেরেক ঠুকে বাঁশ লাগানো হয়েছে।

কি-ম্যান আবদুর রহমান বলেন, স্লিপারের অনেকগুলো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। ট্রেন চলাচলের সময় ঝাঁকুনিতে নাট-বল্টু খুলে স্লিপারগুলো সরে যায়। দিনে দুই-তিনবার এসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হয়। কোথাও ত্রুটি থাকলে সারাতে হয়। স্লিপার যাতে স্থানচ্যুত না হয়, সেই জন্য ফালি করা বাঁশ দিয়ে স্লিপারগুলো আটকে রাখা হয়েছে।

লোকোশেডের ট্রেন চালক নাজমুল হক বলেন, ট্রেন চালানোর সময় রেললাইনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কোনো কারণে স্লিপার স্থানচ্যুত হয়ে রেললাইন সরে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

হবিগঞ্জের লস্করপুর থেকে কুলাউড়ার টিলাগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত এলাকার দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আজম বলেন, মনু রেল সেতু নিয়ে তারা চিন্তিত। ওই এলাকায় একজন কি-ম্যান সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকেন। কারণ যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

রেলওয়ের সিলেট কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান বলেন, জিনিসপত্রের সংকটের কারণে বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। তবে তারা আশাবাদী দুই বছরের মধ্যে সেখানে পুরনো স্লিপার বদলে নতুন স্লিপার স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই।



মন্তব্য চালু নেই