রোজা : যে কারণে কাযা ও কাফফারা আদায় করতে হবে

রোজা আল্লাহ তাআলা হুকুম। রমজানের ৩০ রোজা রাখা ফরজ ইবাদাত। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা নষ্ট করবে তাদের জন্য কাযা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে। যে সকল কারণে রোজার কাযা ও কাফফারা আদায় করতে হবে, সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-

স্ত্রী সহবাস
রমজানে রোজা রেখে দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করলে; চাই তাতে বীর্যপাত হোক আর না হোক। সে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ওপর কাযা ও কাফফারা জরুরি হবে। এ সম্পর্কে একটি দীর্ঘ হাদিসে রয়েছে- এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল, আমি রোজা রেখে স্ত্রী সহবাস করেছি। বিশ্বনবি তার উপর কাফফারা আবশ্যক করেছিলেন। (বুখারি, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
>> মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘বিশ্বনবি ঐ ব্যক্তিকে (যে স্ত্রী-সহবাসে লিপ্ত হয়েছিল) কাফফারা আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে কাযা আদায়েরও আদেশ করেছিলেন।’ (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক)

পানাহার
রোজা রেখে কোনো প্রকার শরিয়তসম্মত ওযর ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাযা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে। এক ব্যক্তি রমজানে রোজা রেখে (ইচ্ছাকৃতভাবে) পানাহার করলো। বিশ্বনবি তাকে আদেশ করলেন, ‘সে যেন একটি দাস আযাদ করে বা দুই মাস রোজা রাখে বা ৬০জন মিসকিনকে খানা খাওয়ায়।’ (দারাকুতনি)
>> ইমাম যুহরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘রমজানে রোজা রেখে যে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করবে তার হুকুম ইচ্ছাকৃতভাবে দিনে সহবাসকারীর অনুরূপ।’ অর্থাৎ তাকে কাযা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে।

ধূমপান
বিড়ি-সিগারেট, হুক্কা পান করলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে।

সেহরি সময় শেষ জেনেও যারা…
সুবহে সাদিক হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও আজান শোনা যায়নি বা এখনো ভালোভাবে আলো ছড়ায়নি এ ধরনের ভিত্তিহীন অজুহাতে খানাপিনা করা বা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়াও হারাম। এতে রোজা সহিহ হবে না। আর যদি রোজার নিয়ত করার পর কেউ এমনটি করে থাকে তাহলে কাযা-কাফফারা দুটোই জরুরি হবে। এ ব্যাপারে সুরা বাক্বারার ১৮৭নং আয়াতে সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা রোজার জন্য ক্ষতিকর ও রোজা নষ্টের জন্য দায়ী বিষয়গুলো থেকে হিফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই