লক্ষ্মীপুরে বিধবাকে গাছে বেঁধে মারধর, চুল কর্তন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরকীয়ার অভিযোগ এনে খুরশিদা বেগম (৪২) নামের এক বিধবাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এ সময় তার মাথার চুল কেটে চুন-কালি লাগিয়ে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এদিকে সন্ধ্যায় রামগঞ্জ থানায় নির্যাতিত নারীকে জড়িয়ে ধরে তার একমাত্র সন্তানের আহজারিতে উপস্থিত লোকজনের চোখও ভারি হয়ে ওঠে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মৃত আবদুল কাদেরের স্ত্রী খুরশিদা ব্রক্ষ্মপাড়া গ্রামে রামগঞ্জ-চাঁদপুর ওয়াপদা বেড়িবাঁধের পাশে বসবাস করেন। তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কাজ শেষে খুরশিদা বেগম বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় হাছিনা বেগম নামে এক নারী তার স্বামীর সঙ্গে খুরশিদার পরকীয়া রয়েছে দাবি করে তাকে লাঞ্ছিত করেন।

এক পর্যায়ে হাছিনা বেগমের ভাই আজিজ, ছেলে ফারুক হোসেনসহ ৪/৫ জন খুরশিদাকে নিজ বাড়িতে তুলে নিয়ে কামরাঙ্গা গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। তার মাথার চুল কেটে চুন-কালি মেখে দেয়য়।

পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এলাকাবাসী নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

নির্যাতিতা খুরশিদা বেগম জানান, তিনি রাস্তার কাজ শেষে ঘরে ফিরছিলেন। এ সময় নূর হোসেন, তার ছেলে ফারুক হোসেনসহ অন্যরা তাকে আটক করে। পরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়।

নির্যাতিতার ভাই আমীর হোসেন জানান, তার বোনকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নূর হোসেন ও আজিজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

রামগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাসিনা বেগম নামের একজনকে আটক করেছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।-যুগান্তর



মন্তব্য চালু নেই