লক্ষ্য সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বাজেট

বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষের অর্থবছরে (২০১৮-১৯) জাতীয় বাজেট ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বৃস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা যে বাজট উপস্থাপন করি সেই বাজেট উপস্থানটাও অনেক বদলে যাবে। এখন আমাদের বাজেট তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট। এই তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট থেকে এই সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যে বাজেট দিবো সেটি হবে ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার। এ লক্ষ্যমাত্রা আমাদের রয়েছে।’

‘আগামী বছর থেকে আমরা আমাদের যে সাধারণ বাজেট সচরাচর উপস্থাপন করি তার সাথে বিশেষ একটি বাজেট দেব। সেটা হবে টান্সপরমেশনের উপর। এটিতে ক্যাপটিাল প্রজেক্ট চলবে। ’ এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল প্রজেক্টর অর্ন্তগত পদ্মা সেতু ও রূপপুর প্রকল্প ও মহেশখালী পাওয়ার সেন্টার এবং মেট্রো রেল প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্য ছিল মুক্তবাজার অর্থনীতি। মুক্তবাজার আজও প্রতিষ্ঠা পায়নি, হয়তো ২০৩০ সালে মুক্তবাজার প্রতিষ্ঠা পাবে। মুক্তবাজার অর্থনীতি না হওয়ার কারণ আমাদের রাজনৈতিক অবস্থা ও প্রেক্ষাপট সেভাবে ছিল না।

তিনি বলেন, আমাদের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র সংকোচন করে জেলায়, জেলায় পাঠিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের রাজনীতিবিদদের যে ব্যর্থতা তা আশা করি কাটিয়ে উঠতে পারবো।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ৬৮ বছর আগে আমাদের দেশ বিদেশি কলোনি থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু ৬৮ বছরে আমাদের সীমানা নির্ধারিত হয়নি, এখন আমরা একটা সীমানা পেয়েছি, যার সীমানা নির্ধারিত। দেশের মানুষ জানে তার সীমানা কতটুক। এটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে।

দেশের অর্থনীতির একটি শক্ত অবস্থান বৈদেশিক রেমিট্যান্স উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই রেমিট্যান্সকে আমরা আরও অনেক বেশি বাড়াতে পারব, যখন স্কিল ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম কার্যকর হবে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাখার পরিকল্পনা করেছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এজন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে এই উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।



মন্তব্য চালু নেই