ঈদে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস ১ জুলাই থেকে

ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও বেসরকারি মালিকানাধীন লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস ১ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হবে বলে জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ঈদ যাত্রায় ফিটনেস ছাড়া কোনো লঞ্চ চলতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে সংস্থা প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব আশোক মাধব রায় স্বাক্ষর করেন।

ঈদের আগে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ রঙ করে নামানো হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন ফিটনেস ছাড়া কোন লঞ্চ চলতে দেয়া হবে না। এটা তাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে নৌ-দুর্ঘটনা অনেকটা কমে এসেছে। ২০১৫ সালে মাত্র দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে সেটিকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

লঞ্চে রঙ করানো অন্যায় নয় জানিয়ে মন্ত্রী এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, আপনার শরীরে যদি সাবান না দেন বা ভালো করে গোসল না করেন তাহলে ময়লা জমবে। এছাড়া ঈদ বা কোনো না কোনো সময় তো বাড়ি রঙ করান। একটু ভাংচুর হলে মেরামত করান। গাড়ি বা লঞ্চেও রঙ করানো হয়, ইঞ্জিনের কাজ করানো হয়, এটা অচল না। নিয়মের মধ্যেই এটা করতে হয়।

ঈদে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে না চলতে পারে এ ব্যাপারে সরকার খুবই সতর্ক জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওভারলোডিং ঠেকাতে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন। অনেকে আমরা আরামে ঈদ করি, কিন্তু আমাদের কর্মকর্তাদের অনেকেরই ঈদ করা হয় না। ঈদের সময় এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা। ব্যস্ত থাকবেন যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই