লতিফ সিদ্দিকীর আসনে উপনির্বাচন ৩১ জানুয়ারি

টাঙ্গাইল-৪ আসনের (কালিহাতী) উপনির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা নির্বাচন অফিসার এবং টাঙ্গাইল-৪ আসনের (কালিহাতী) উপনির্বাচনের সহকারী রিটানিং অফিসার তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৫ জন, মোট ভোটকেন্দ্র ১০৭ টি, মোট ভোটকক্ষ ৬৬১টি। এ ছাড়া প্রিজাইডিং অফিসার ১০৭ জন, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ৬৬১ জন ও পোলিং এজেন্ট ১৩৮৮ জন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন প্রার্থী হলেন, মোহাম্মদ হাছান ইমান খাঁন (আওয়ামী লীগ), আতাউর রহমান খান (বিএনএফ) ও ইমরুল কায়েস (এনপিপি)।

জেলা নির্বাচন অফিসার এবং টাঙ্গাইল-৪ আসনের (কালিহাতী) উপ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার তাজুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হাছান ইমান খাঁনের সাথে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে কালিহাতীর উপ- নির্বাচন হয়নি। এতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাত বিষয়ে মন্তব্য করে বক্তব্য দেন। পরে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রী থেকে পদ থেকে এবং পরে তাকে আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করা হয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর শুন্য আসন বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। পরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কাদের সিদ্দিকী। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা আবেদন ওই বছরের ১৮অক্টোবর ইসি খারিজ করে তা বাতিল করে দেয়া হয়।

এরপর নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ নয় মর্মে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

এরপর হাইকোটের আদেশের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সে আবেদন মঞ্জুর করেন। সেই আপিল শুনানি শেষে গত ১৮ জানুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগ।



মন্তব্য চালু নেই