লালমনিরহাটে শীতে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

ধীরে ধীরে শীত বাড়ছে, সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে প্রতিদিন বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে একদিন থেকে ২/৩ বছরের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। নাক দিয়ে পানি পড়া, বুকে ঠান্ডা লেগে কাশি জমা, জ্বর, জ্বরজনিত কারণে খিঁচুনী, জন্ডিস, নাক বন্ধ হয়ে শ্বাস কষ্ট, নাকের ভিতরে ঘা, পাতলা পায়খানা, বমি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ। শীত মওসুমে শিশুদের ঠান্ডা লেগেই বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে।

বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল গুলোর বহির্বিভাগে ২ হাজার ৭২৫ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া ভর্তি শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে গত ডিসেম্বর মাস ও জানুয়ারীর প্রথম ১৫ দিনে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৭ জন শিশু। এছাড়া সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট বিভাগে ৩২৫ জন শিশু রোগী গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছে।
সড়ে জমিনে বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে মা ও স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছা এলাকার বাসিন্দা কেয়া বেগম তার ১৮ মাস বয়সী শিশু সন্তান বাবুকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে শিশু বাবু কাশি ও হালকা জ্বর দেখা দেয় এরপর থেকে বুকে কাশি জমে গেছে। এছাড়া শিশু বাবুর নাকের ভিতরে ঘা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ আ. স. ম. আব্দুস সামাদ জানান, শীতের মওসুমের শুরুতেই আরএসভি, রোটা ও এডিনো ভাইরাসজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুদের নাক দিয়ে পানি পড়া, বুকে ঠান্ডা লেগে শ্বাস কাশি, শীতকালীন ডায়রিয়া ও পানিবাহিত টাইফয়েড, হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নবজাতক শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এসব রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখতে ঠান্ডার হাত থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখা, যে বাসা বাড়িতে শিশু রয়েছে সেসব স্থানে ধূমপান না করা, রান্না ঘরের কাঠের চুলার ধোঁয়া থেকে শিশুদের মুক্ত রাখা, শিশুদের বাসি-খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকাসহ ধুলো-ময়লা থেকে দূরে রাখা ইত্যাদি।



মন্তব্য চালু নেই