লেবুপানির স্বাস্থ্য উপকারিতা

কিছু বিষয় সচেতনভাবে মেনে চললেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন নীরোগ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। যেমন ধরুন, দিনটা এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ লেবু পানি পানের মাধ্যমে শুরু করেই দেখুন।

এটা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন বিশেষ উপকারী, তেমনি তা দীর্ঘস্থায়ী আয়ুর্বেদিক অনুশীলনও বটে।
সকালের শুরুটা উষ্ণ লেবু পানি পানের মধ্য দিয়ে শুরু করলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি দিকগুলো জেনে নিনঃ

হজমে সহায়তা
ঈষদুষ্ণ লেবুপানি পান কেবল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীকেই উদ্দীপিত করে না বরং এটি লিভারকেও উদ্দীপিত ও বিশুদ্ধ করে। একই সাথে এ তরল পরিপাক অ্যাসিডকে হজমে ও শরীর থেকে দূষিত বর্জ্যর নিঃসরণে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধে সহায়তা
লেবুর মতো সাইট্রাস ফলে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যাসক্রবিক অ্যাসিড রয়েছে। ভিটামিন সি ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষা দেয় এবং অ্যাসক্রবিক অ্যাসিড লোহা শোষণে সাহায্য করে, যা মূলত রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।

শরীরে ক্ষার তৈরি
শরীরে দীর্ঘস্থায়ী পিএইচ ভারসাম্যহীনতা রোগ-জীবানুর সহায়ক। লেবুকে অম্লীয় মনে হলেও এটি অত্যন্ত ক্ষার সৃষ্টিকারী এবং পিএইচ ভারসাম্য নিশ্চিত করতে একটি চমৎকার দাওয়াই, বিশেষত মাংস, পনির ও মদ্যপানের ক্ষেত্রেতো অবশ্যই।

জীবানু নির্গমনে সহায়ক
লেবু পানি মূত্রবর্ধক হওয়ায় এটি পানে বারবার প্রসাব হয়। যার সাথে শরীরের দূষিত বর্জ্র বের করে দেয়। এছাড়া লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে এনজাইম তৈরিতে বেশ সহায়ক, যা লিভারের সুরক্ষা দেয়।

শরীরকে চাঙ্গা রাখে
আপনি যদি সকালের কফির বদলে ঈষদুষ্ণ লেবু পানি পানের সিদ্ধান্ত নিতে ইতস্তত থাকেন, তবে শুনুন অনেকেই এ অভ্যাস বদলের মাধ্যমে বেশ উপকৃত হয়েছেন। লেবু ও পানির মিশ্রণ পানে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর হবে এবং এটি রক্তে অক্সিজেন প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবে। যা আপনাকে সারাদিন চনমনে ও ঝরঝরে রাখবে।

ত্বক সুন্দর রাখতে সহায়ক
ক্রনিক ডিহাইড্রেশন আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে দিতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে তাই আপনার দিন শুরু হোক এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ লেবু পানি পান করার মধ্য দিয়ে। কারণ লেবুর ভিটামিন সি ত্বকের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কুঁচকে যাওয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।



মন্তব্য চালু নেই